সংবাদদাতা, কাটোয়া: প্রশাসনের জারি করা নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্য সড়কে দাপিয়ে চলছে টোটো। তার উপরে কেতুগ্রামে টোটোর ‘বডি’ বাড়িয়ে স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে রাজ্য সড়ক ধরে ছুটছে টোটো। নির্বিকার প্রশাসন। দুর্ঘটনা ঘটলে দায় কার, উঠছে সেই প্রশ্ন।
কেতুগ্রামে কাটোয়া-ফুঁটিসাকো রোড ধরে বহু টোটো দিনের পর দিন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, লেদে নিয়ে গিয়ে টোটোর পিছন দিকে আয়তন বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে। তাতে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা যাচ্ছে। আশঙ্কা বাড়িয়ে এ ধরনের টোটোগুলি স্কুল পড়ুয়াদের আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজ্য সড়কে বেশ কিছু টোটো দুর্ঘটনার মুখে পড়লেও ফিরছে না হুঁশ। কেতুগ্রামের বেশ কয়েকটি স্কুলও এসব টোটোয় পড়ুয়াদের আনা-নেওয়ার জন্য অনুমতি দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে আয়তন বাড়িয়ে টোটোতে পড়ুয়াদের আনা-নেওয়া করা যায়। কোমরপুরের এক টোটো চালক আজিজুল শেখ বলেন, আমার টোটোটি ৮ হাজার টাকা খরচ করে বাড়িয়ে নিয়েছি। তারপর পড়ুয়াদের নিয়ে যাচ্ছি। কী করব, গরিব মানুষ। অনেক জায়গায় টোটোয় মালপত্র বহন করতেও দেখা যাচ্ছে। খরচ কম হওয়ায় মোটর ভ্যানের জায়গা নিচ্ছে টোটো। উল্ল্যেখ, কাটোয়া শহরে টোটোর দৌরাত্ম্য কমাতে পদক্ষেপ করেছে পুলিস-প্রশাসন। শহরে টোটো চালাতে গেলে পরিবহণ দপ্তরে রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। টোটোতে হলোগ্রাম স্টিকারও সাঁটানো হবে। কাটোয়া ও দাঁইহাট দুই শহরেই টোটো চালকদের তালিকা তৈরি হচ্ছে।
কাটোয়া আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের এআরটিও অরুণাভ শর্মা বলেন, টোটোর রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে, হলোগ্রাম স্টিকারও সাঁটানো হবে। ওই স্টিকারেই টোটো চালকদের ছবি সাঁটানো থাকবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া ও দাঁইহাট মিলে প্রায় ১১৫০ টোটো চলাচল করে। কাটোয়ায় টোটোর রাশ টানতে আগে পুলিস স্টিকার দিয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা যায় তাতেও টোটোর রাশ টানা যায়নি।
কাটোয়া মহকুমাজুড়ে অনুমতি বিহীন শ’য়ে শ’য়ে টোটো চলছে। গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও ব্যঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে অনুমতি বিহীন টোটো স্ট্যান্ড। প্রত্যেকেই অভিযোগ করছেন, যেভাবে টোটোগুলি রাজ্য সড়কে দাপাদাপি করেছে, তাতে সমস্যা আরও বাড়বে।-নিজস্ব চিত্র