• একমাত্র দিদিমণির অবসর গ্রহণ, কালনায় শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে তালা, এলাকায় ক্ষোভ
    বর্তমান | ০৩ মার্চ ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কালনা: একমাত্র দিদিমণি অবসর নিয়েছেন। আর কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা না থাকায় কালনা থানার শ্বাসপুর রামকৃষ্ণপল্লি শিশুশিক্ষা কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেল। আতান্তরে পড়েছে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। শনিবার পড়ুয়ারা স্কুলে এসে দেখে তালা বন্ধ। ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাজ হারানোর আশঙ্কা করছেন দুই রাঁধুনি। এব্যাপারে কালনা-২ বিডিও অনিরুদ্ধ মণ্ডল বলেন, স্কুল বন্ধের বিষয়টি জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে। 


    পড়ুয়ার অভাবে কালনা শহরের বেশ কয়েকটি প্রাথমিক স্কুল ধুঁকছে। দু’দশক আগে কালনার সাতগাছিয়া পঞ্চায়েতের শ্বাসপুর রামকৃষ্ণপল্লি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রটি গড়ে ওঠে। প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ১৮জন পড়ুয়া ছিল। এক একজন শিক্ষিকা থাকলেও পঠনপাঠন নিয়ে তেমন কোনও অভিযোগ ছিল না। শুক্রবার স্কুলের একমাত্র দিদিমণি শোভা সাহা অবসর নেন। তিনি যাওয়ার আগে বিদ্যালয়ের কয়েকজন পড়ুয়াকে ‘টিসি’ ইস্যু করেন। পড়ুয়াদের অভিভাবকদের মধ্যে কেউ কেউ সন্তানকে অন্যত্র ভর্তির উদ্যোগ নিয়েছেন। কেউ আবার সন্তানকে এই স্কুলেই পড়ানোর দাবি জানিয়ে টিসি নেননি। শনিবার স্কুলে কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা না থাকায় বন্ধ ছিল। পড়ুয়ারা এসে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।


    অভিভাবক বিভূতি বাইন বলেন, আমরা দিনমজুরের কাজ করি। বাড়ির কাছে স্কুলে মেয়েকে ভর্তি করেছিলাম। মেয়ে এবার তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ছে। স্কুলে একমাত্র দিদিমণি থাকলেও আমাদের তেমন কোনও অভিযোগ ছিল না। এখন স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে সন্তানকে কোথায় নিয়ে যাব? আমাদের বাড়ি থেকে অন্যান্য প্রাথমিক স্কুল কিছুটা দূরে। 


    মেয়ে একাই স্কুলে যাতায়াত করত। এখন দূরের স্কুলে ভর্তি করলে নিয়ে যাওয়া ও নিয়ে আসার অসুবিধা হবে। এই স্কুলে ভালো পরিবেশ, বিদ্যুৎ ও সোলার সিস্টেমে পানীয় জলের ব্যবস্থা, শৌচাগার ও পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। আমরা চাই নতুন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করে স্কুল চালু রাখা হোক। 


    সদ্য অবসর নেওয়া শিক্ষিকা শোভাদেবী বলেন, শুক্রবার আমি অবসর নিয়েছি। শিক্ষাদপ্তরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।  কিছু পড়ুয়াকে অন্য স্কুলে ভর্তির জন্য টিসি দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন অভিভাবক টিসি নেননি। পঞ্চায়েত প্রধান হরেকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, শনি-রবিবার সরকারি অফিস ছুটি। সোমবার এবিষয়ে কালনা চতুর্থ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের সঙ্গে কথা বলব।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)