ব্যক্তি মালিকানাধীন পরিত্যক্ত ফাঁকা জমিগুলি ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পরিণত
বর্তমান | ০৩ মার্চ ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: ব্যক্তি মালিকানাধীন পরিত্যক্ত ফাঁকা জমিগুলি ক্রমশ ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পরিণত হচ্ছে। অভিযোগ, আশপাশের বাসিন্দারা সেই ফাঁকা জমিতে নিত্যদিনই আবর্জনা ফেলে চলেছেন। এছাড়াও স্থানীয় বেশকিছু ব্যবসায়ীও সেই সব জমিতে আবর্জনা ফেলছেন। ঘটনায় জমিগুলিতে আবর্জনার স্তূপ ক্রমশ পাহাড়ের রূপ নিচ্ছে। এর জেরেই পরিবেশ দূষণের মাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। কোনও কোনও এলাকায় আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে। বাড়ছে মশা ও মাছির অত্যাচার। ঘটনাটি সিউড়ি পুরসভা এলাকার। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ,পুরসভার উদাসীনতায় শহরের পরিত্যক্ত জমিগুলি ক্রমশ ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পরিণত হচ্ছে। এছাড়াও নির্দিষ্ট জমির মালিকদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনায় শহরের বাসিন্দারা সরব হয়েছেন। এবিষয়ে সিউড়ির মহকুমা শাসক সুপ্রতীক সিনহা বলেন, ইতিমধ্যে একাধিক জমির মালিকদের নোটিস করা হয়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন পরিত্যক্ত জমিগুলি পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পুরসভা এলাকার ২১টি ওয়ার্ডের অধীন সুভাষ পল্লি, রবীন্দ্র পল্লি সহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিক পরিত্যক্ত জমি রয়েছে। সেসব জমির বেশিরভাগই ব্যক্তি মালিকানাধীনে রয়েছে। অভিযোগ, কোনও একসময় কেউ একজন জমি কিনেছেন। তবে সেখানে কোনও নির্মাণ কাজ হয়নি। দীর্ঘ সময় ধরেই জমিগুলি পরিত্যক্ত অবস্থায়পড়েরয়েছে। বর্তমান সময়ে সেসব জমিগুলি আবর্জনা ফেলে রাখার স্থান হিসেবে ক্রমশ চিহ্নিত হয়ে উঠছে। কোনও কোনও পরিত্যক্ত জমিতে আবর্জনার স্তূপ পাহাড়ের রূপ নিতে শুরু করেছে। সেসব থেকে মাঝে মধ্যেই দুর্গন্ধ ছড়ানোর অভিযোগও উঠছে। অভিযোগ, শুধুমাত্র আশপাশের বাসিন্দারাই সেখানে আবর্জনা ফেলছেন, এমনটা নয়। বেশকিছু স্থানীয় বাসিন্দা সহ দূর দূরান্তের বাসিন্দারাও রাতের অন্ধকারে সেসব ফাঁকা জমিতে আবর্জনা ফেলে চলে যাচ্ছেন। এনিয়ে অবশ্য জমির মালিকদের কোনও মাথা ব্যথা নেই। তবে, এলাকার বাসিন্দা সহ পথচলতি সাধারণ মানুষ সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।
শেখ সজীব বলেন, ফাঁকা জমিতে আবর্জনা ফেলে অনেকেই দায় সারছেন। বহু মানুষকে একাধিক সময় নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কথা কেউ শোনে না। ফাঁকা জমি গুলি ক্রমশ ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পরিণত হচ্ছে। এতে আখেরে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। পুরসভা কর্তৃপক্ষ একটু নজর দিক। হাবু দাস বলেন, জমির মালিকরাও উদাসীন। তাঁরাও যদি পদক্ষেপ নিতেন,তবে এমন ঘটনা ঘটত না। পরিবেশের স্বার্থে সকলকে উদ্যোগী হতে হবে। পুরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। তবে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। ইতিমধ্যে একাধিক জমির মালিককে চিহ্নিত করে নোটিস করা হয়েছে। এরপরও কোনও সুরাহা না হলে ওই সব জমিতে পুরসভার তরফে পোস্টার লাগানো হবে। - নিজস্ব চিত্র