• কর্মতীর্থে দোকান না খোলার জের  চুক্তি বাতিল করে ফের বণ্টন
    বর্তমান | ০৩ মার্চ ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: কর্মতীর্থে স্টল নিয়ে বসে আছেন অথচ দোকান খোলেননি। বাঁকুড়া জেলায় এমন ৩৭৪টি স্টলের অ্যালটমেন্ট বাতিল করে নতুনদের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি নিয়মে অ্যালটমেন্ট পাওয়ার পর ৯০দিনের মধ্যে স্টল না খুললে তা বাতিল বলে গণ্য হবে। জেলায় বিভিন্ন কর্মতীর্থে এরকম ৩৭৪টি স্টল রয়েছে, যেগুলো বণ্টনের পরেও খোলা হয়নি। সেজন্য ওই সমস্ত স্টল নতুন করে বণ্টন করা হবে। তার জন্য সংশ্লিষ্ট বিডিওদেরকে বিজ্ঞপ্তি দিতে বলা হয়েছে। 


    প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, সম্প্রতি কর্মতীর্থগুলির অবস্থা সম্পর্কে রাজ্যের থেকে খোঁজ খবর নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো সংশ্লিষ্ট ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়। তাঁদের রিপোর্ট অনুযায়ী জেলায় মোট ৩৭৪টি স্টল বণ্টনের পরেও খোলা হয়নি। নতুন করে তা বণ্টনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার প্রস্তুতি চলছে। 


    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন হস্তশিল্পী ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিজেদের দোকানঘর না থাকায় ব্যবসা করতে সমস্যা হয়। সেকথা চিন্তা করে মুখ্যমন্ত্রী ২০১৪সালে কর্মতীর্থ নামে একটি প্রকল্প চালু করেন। তাতে সরকারের পক্ষ থেকে জেলায় জেলায়সিংহভাগ ব্লকে একটি করে কর্মতীর্থ তৈরি করা হয়। পরিচালনার জন্য নোডাল দায়িত্ব দেওয়া হয় মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড টেক্সটাইলস দপ্তরকে। পরবর্তীতে আবেদনের ভিত্তিতে শিল্পী ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে ব্যবসা করার জন্য তাঁদের একটি করে স্টল দেওয়া হয়। এব্যাপারে সরকারের সঙ্গে তাঁদের একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। ৯০দিনের মধ্যে দোকান না খোলায় তাদের চুক্তিপত্র বাতিল করে নতুনদের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিডিওদেরকে পুরনো অ্যালটমেন্ট বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন করে স্টল বন্টনের নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া জেলায় ১১টি কর্মতীর্থে ১৯১টি স্টলের মধ্যে পাত্রসায়রের ফকিরডাঙায় ১৪টি, পাত্রসায়র সদরে ১১টি, বিষ্ণুপুরের রাধানগরে ৩৬টি, সিমলাপালের উপরসোলে ৪০টি, রানিবাঁধের ঝিলিমিলিতে ৫টি, বাঁকুড়া-১ ব্লকের আইলাকাঁদিতে ট্রেনিং কমপ্লেক্সে ১২টি এবং এসএইচজি কমপ্লেক্সে ৫টি, গঙ্গাজলঘাটির ভৈরবপুরে ৩৩টি, তালডাংরার পাঁচমুড়ায় ১৫টি, ইন্দাসে ১০টি এবং মেজিয়ার অর্ধগ্রামে ১০টি স্টল আগে থেকেই খোলা হয়নি।  এছাড়াও নতুন করে আরও ৭টি কর্মতীর্থে ১৮৩টি স্টল খালি হয়েছে। 


    তার মধ্যে রয়েছে বাঁকুড়া-১ ব্লকের আইলাকাঁদিতে ৩টি, সারেঙ্গার বড়ো আমঝোড়ে ২৮টি, হিড়বাঁধের মলিয়ানে ৪০টি, খাতড়ার মুকুটমণিপুরে ২৫টি, ইন্দপুরের নায়েকহিড়ে ৪০টি, ছাতনার মেট্যালায় ৭টি এবং শালতোড়া সদরে ৪০টি। এগুলি নতুন করে বন্টনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  
  • Link to this news (বর্তমান)