কৃষ্ণনগরে দুই পাড়ার যুবকদের মারপিট, চলল গুলি, গ্রেপ্তার ২
বর্তমান | ০৩ মার্চ ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: শনিবার রাতে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার কালীনগরে দুই পাড়ার মধ্যে মারপিটের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়াল। ওই এলাকার দুটি পাড়ার মধ্যে মারপিট হয়। একে অপরের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। এমনকী গুলিও চলেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানার পুলিস দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের নাম রাহুল ঘোষ এবং রজত মোদক। ধৃতদের বাড়ি চকেরপাড়া এলাকায়। ধৃতদের রবিবার কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হয়। রজত মোদককে ১৪ দিনের জেল হেফাজত ও রাহুল ঘোষকে পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস। পাশাপাশি মারপিটের ঘটনায় তিনজন জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার এসপি অমরনাথ কে বলেন, পুরনো বিবাদের জেরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট হয়েছিল। অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি। পাশাপাশি এই মারপিটের ঘটনায় আরও কারা যুক্ত তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অশান্তির সূত্রপাত সরস্বতী পুজোর সময় থেকে। কদমতলা ঘাটের কাছে ভাসানকে কেন্দ্র করে দুটি পুজো কমিটির মধ্যে মারপিট হয়। যদিও সেই সময় পুলিস পরিস্থিতি সামলে নিয়েছিল। দুই পাড়ার মধ্যে তখন থেকেই ঠান্ডা লড়াই চলছিল। আগেও এই দুই পাড়ার মধ্যে অশান্তি হয়েছে। শনিবার রাতে নতুন করে ফের দুই পাড়ার যুবকরা মারপিটে জড়িয়ে পড়ে।
জানা গিয়েছে, রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ কালীনগরের এক যুবক বাইকে করে যাচ্ছিল। চকের পাড়ার কাছে সেখানকার বেশ কয়েকজন তাকে দাঁড় করায়। তাদের সঙ্গে বাইকচালক যুবকের বচসা হয়। তখন বাইক আরোহী ফোন করে কালীনগরের বন্ধুদের ডাকে। এরপর দুই পাড়ার লোকজন একে অপরের দিকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চলে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ঘটনায় তিনজন জখম হয়। তাদের চিকিৎসার জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কালীনগরের বাসিন্দা সংগ্রাম রায় বলেন, প্রতিদিন রাতে আমাদের এই চ্যাটার্জি পুকুর এলাকায় ছেলেরা আড্ডা দেয়। হঠাৎ কিছু ছেলে আমাদের পাড়ার ছেলেকে গালিগালাজ করতে থাকে। তারপর বচসা থেকে মারামারি শুরু হয়ে যায়। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েছে ওরা। এর আগেও এখানে এরকম ঘটনা ঘটেছে। সরস্বতী পুজোর ভাসানের দিনও মারপিট হয়েছে। আমরা আতঙ্কে আছি।