• আজ উচ্চ মাধ্যমিক, জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪২ হাজার
    বর্তমান | ০৩ মার্চ ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: গত বছরের তুলনায় এবার মুর্শিদাবাদ জেলায় উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২২ হাজার কম বলে খবর পর্ষদ সূত্রে। তবে ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা এবার প্রায় ৭ হাজার বেশি। মুর্শিদাবাদ জেলায় এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪২ হাজার ১৮৭ জন। যার মধ্যে ১৭ হাজার ৫৮২ জন ছাত্র এবং ২৪ হাজার ৬০৫ জন ছাত্রী পরীক্ষা দেবেন। সোমবার থেকে জেলায় মোট ১১৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। যার মধ্যে প্রায় ৪০টি কেন্দ্র স্পর্শকাতর। পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা (পূর্বতন ১৪৪ ধারা) জারি থাকছে। এদিনই বাম ছাত্র সংগঠনের তরফে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় এবং পড়ুয়াদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকে বাড়তি নজর রাখছে পুলিস। মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর পুলিস জেলায় প্রতিটি শহর ও গ্রামের পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তায় অতিরিক্ত পুলিস মোতায়েন করা হচ্ছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমরকুমার শীল বলেন, মোট ১১৮টি কেন্দ্রে ৪২ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় বসবে। আমরা পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত ব্যবস্থা রেখেছি। 


    প্রশ্নপত্র ফাঁস আটকাতে মাইক্রো প্যাকেজিং, বারকোড এবং কিউআর কোডের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে পরীক্ষা। ন’টার মধ্যেই প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে সশস্ত্র পুলিস প্রশ্নপত্র পৌঁছে দেবে। শুধু তাই নয়, এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকছে মেটাল ডিটেক্টর। আগে একাধিকবার পড়ুয়াদের মাধ্যমেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা শুরুর আগেই সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় প্রশ্নপত্র। এই ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তাই গত বছরেই বেশকিছু স্পর্শকাতর পরীক্ষা কেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টরের ব্যবহার শুরু করে পর্ষদ। তবে, সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করতেন ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিসকর্মীরা। এবছর অবশ্য পুলিস কর্মীরা নয়, দেহ তল্লাশি করবেন শিক্ষক-শিক্ষিকা কিংবা শিক্ষাকর্মীরাই। এরফলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ঘটনা যেমন আটকানো যাবে, তেমনই পড়ুয়াদের নকল করাও অনেকটাই কম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে প্রতি পরীক্ষা কেন্দ্রেই থাকছে সিসি ক্যামেরা। পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য সরকারের তরফে অন্ততপক্ষে পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রবেশদ্বারে ও ভেন্যু সুপারভাইজারের রুমে সিসি ক্যামেরা থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরীক্ষার দিনগুলির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ভেন্যু সুপারভাইজারের কাছে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত রাখতে হবে। প্রয়োজন পড়লে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সেই ফুটেজ দেখবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির কর্তৃপক্ষকে পরীক্ষা শেষ হওয়ার দশদিনের মাথায় মেটাল ডিটেক্টরগুলি শিক্ষাদপ্তরে ফেরত দিতে হবে। পরীক্ষার্থীরা মোবাইল বা অন্য কোনও যন্ত্র নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকছে কি না, মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তা যাচাই করা হবে।‌ বহরমপুরের সৈদাবাদ মনীন্দ্রচন্দ্র বিদ্যাপীঠে স্থানীয় চারটি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার সিট পড়েছে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামনাথ সেনগুপ্ত বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে মোট ৩৩৮ জনের সিট পড়েছে। চারটি বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এখানে পরীক্ষা দেবে। ১৫০ জন ছাত্রীও আছে। ছাত্র ও ছাত্রীদের ঢোকা ও বেরনোর জন্য আলাদা গেট রাখা হচ্ছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত জল এবং প্রত্যেকটি ঘরে ঘড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরা অনেক আগে থেকেই বিদ্যালয়ে ইনস্টল করা আছে। পড়ুয়ারা নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দেবে বলেই আমরা আশাবাদী।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)