• গঙ্গাজলঘাটির ভক্তাবাঁধ উচ্চ বিদ্যালয়, বার্ষিক অনুষ্ঠানে সামাজিক সচেতনতার বার্তা
    বর্তমান | ০৩ মার্চ ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: শিক্ষার আলো ছড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডেও অবদান রেখে চলেছে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের ভক্তাবাঁধ উচ্চ বিদ্যালয়। সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে শিক্ষা, ক্রীড়া সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়া ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কার দেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতামূলক বার্তাও দেওয়া হয়। বাল্যবিবাহ রোধ, পথ নিরাপত্তা, মোবাইলের ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রচার চালানো হয়। একটি নাটকও ছাত্রছাত্রীরা মঞ্চস্থ করে। ‘একটু আলোর খোঁজে’ নামে ওই নাটকটির লেখক ও নির্দেশক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব বটব্যাল। এর আগেও সমাজে মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলার লক্ষ্যে ওই বিদ্যালয়ে মঞ্চস্থ হয়েছিল ‘মানুষ মানুষের জন্য’ নাটক। পাশাপাশি নারীশিক্ষার প্রসার ও কন্যারত্নের প্রতি যত্নশীল হওয়ার ব্যাপারে চেতনাবৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিবেশিত হয়েছিল নাটক ‘আমি কন্যা আমি প্রগতি’।


    ২০০৯ সালে স্কুলটি স্থাপিত হয়। ওইসময় জুনিয়র হাইস্কুল ছিল। পরবর্তীকালে ২০১৮সালে মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হয়। প্রথম প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়াতে বিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিগত কয়েক বছর ধরে ওই স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা ভালো ফল করছে। 


    সঞ্জীববাবু বলেন, প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা ওই মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে নৃত্য, গীত পরিবেশিত হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন বিশিষ্টরা। আমাদের অনুষ্ঠানে আশপাশের উচ্চ বিদ্যালয়গুলি থেকে প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মীরাও যোগ দেন। পাশাপাশি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, শিক্ষাদপ্তর, ব্লক ও জেলা প্রশাসনের কর্মী-আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আসতে না পারলেও গঙ্গাজলঘাটির বিডিও মৃন্ময়ী চট্টোপাধ্যায় প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন। নাটকটি দেখে ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন। একটি বাংলা বিনোদন চ্যানেলের প্রতিনিধিরা গতবছর স্কুলে এসে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একটি ক্যুইজ প্রতিযোগিতা করে। তাতে আমাদের স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা নজর কেড়েছিল। এছাড়াও বিজ্ঞান বিষয়ক প্রদর্শনীতে ছাত্রছাত্রীরা রাজ্যস্তরে অংশগ্রহণ করেছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাঁকুড়া জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, বিদ্যালয়কে গ্রামের বাসিন্দারা আগলে রেখেছেন। আগামী দিনে বিদ্যালয় উন্নতির শিখরে পৌঁছবে বলে আমরা আশাবাদী। 


    ভক্তাবাঁধ গ্রাম ষোলোআনার পক্ষ থেকে বাদলচন্দ্র মাজি বলেন, পঠনপাঠনের পাশাপাশি আমাদের গ্রামের স্কুল খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। গ্রামেরই বাসিন্দা সঞ্জীববাবু বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হওয়ায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতির ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন। সঞ্জীববাবু বলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও পরিচালন কমিটি ও গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় স্কুলের উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)