প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ শুরু মালদহে, মিটবে শিক্ষক সঙ্কট
বর্তমান | ০৩ মার্চ ২০২৫
সংবাদদাতা, মালদহ: জেলায় শুরু হল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ। ২০০৯ সালের আবেদনকারীদের এই পদে নিয়োগ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তিন শতাধিক আবেদনকারীর কাছে নিয়োগপত্র পৌঁছে গিয়েছে বলে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে। এই নিয়োগের ফলে জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সঙ্কট কিছুটা হলেও মিটবে বলে মনে করছে শিক্ষা মহল। তবে নিয়োগপত্র পাওয়ার পরেও পোস্টিং নিয়ে বেশকিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রয়োজন অনুযায়ীই বিভিন্ন বিদ্যালয়ের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই।
যাঁরা নিয়োগপত্র পেয়েছেন, তাঁদের অনেকেই চাকরি পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানান, ২০০৯ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার জন্য পরীক্ষায় বসেছিলেন। পরবর্তীতে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। একের পর এক বিতর্ক ও মামলার জেরে নিয়োগ প্রক্রিয়া কার্যত বিশ বাঁও জলে চলে যায়। কিন্তু আবেদনকারীদের একাংশ হাল ছাড়েননি। শুক্র ও শনিবার অনেক প্রার্থীর কাছে নিয়োগপত্র পৌঁছে গিয়েছে। তবে তাঁদের একাংশের বক্তব্য, বাড়ি থেকে বহু দূরের বিদ্যালয়ে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়বেন তাঁরা। বাড়ি থেকে সুস্থ ভাবে যাতায়াত সম্ভব হবে, এমন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগের বিষয়টি মানবিক কারণে বিবেচনার আবেদনও জানিয়েছেন ওই প্রার্থীরা।সদ্য নিয়োগপত্র পেয়ে খুশি মালদহ শহরের বাসিন্দা পুষ্পিতা হেমব্রম। তিনি বলেন, প্রায় দেড় দশক পরে শিক্ষকতা করার স্বপ্ন সফল হল। চেষ্টা করব ছাত্রছাত্রীদের খুব ভালো করে পড়াতে। একই সঙ্গে পুষ্পিতা যোগ করেন, আমাকে পাঠানো হয়েছে মালদহ শহর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলে পৌঁছতে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার যানবাহন বদল করতে হবে। ইংলিশবাজার না হলেও মাঝামাঝি দূরত্বের কোনও ব্লকের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ করা হলে সুবিধা হতো।
এদিকে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপার্সন বাসন্তী বর্মণ বলেন, আমরা সব সময়ই নিয়োগের পক্ষে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও চান বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্রুত নিয়োগ করতে। সুযোগ আসলেই আমরা নিয়োগের বিষয়টি দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা করি। এক্ষেত্রেও আইনি নির্দেশ পেয়েই দ্রুত নিয়োগপত্র পাঠানোর প্রক্রিয়া সেরে ফেলেছি।