• তুফানগঞ্জে একরাতে উদ্ধার হেরোইন ও গাঁজা, গ্রেপ্তার ৩
    বর্তমান | ০৩ মার্চ ২০২৫
  • সংবাদদাতা, তুফানগঞ্জ: দু’টি পৃথক অভিযান চালিয়ে তুফানগঞ্জ ও বক্সিরহাট থানার পুলিস ও এসটিএফ বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। শনিবার ওই অভিযান চলে। দু’টি আলাদা ঘটনায় মোট তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছে। 


    পাচারকারীরা পুলিসের চোখে ধুলো দিতে ট্রাকের মধ্যে লোহার প্লেট বসিয়ে চেম্বার বানিয়ে তার নীচে লুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল বিপুল পরিমাণে গাঁজা। যদিও পুলিসের তৎপরতায় গাঁজা পাচারের ছক বানচাল হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের রায়ডাক ব্রিজ নাকা পয়েন্টে ট্রাকটি পৌঁছতেই দাঁড় করায় এসটিএফ ও তুফানগঞ্জ থানার পুলিসের যৌথ দল। ট্রাক থামতেই তল্লাশি চালানো হয়। দেখা যায়, ট্রাকের মধ্যে লুকিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রচুর সংখ্যায় গাঁজার প্যাকেট। বেআইনিভাবে গাঁজা পরিবহণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় লরিচালককে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম গিল গুরদেও সিং। তার বাড়ি গুজরাটে। উদ্ধার হয় ৫৮টি প্যাকেট থেকে প্রায় ৪৫০ কেজি গাঁজা। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২৭ লক্ষ টাকা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ট্রাকটি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে গাঁজার প্যাকেট উত্তর-পূর্ব ভারতের কোনও রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে আসা হচ্ছিল। 


    অন্যদিকে, দ্বিতীয় ঘটনায় বক্সিরহাট থানার জোড়াই মোড় সংলগ্ন মরা রায়ডাক ব্রিজের কাছে হেরোইন সহ এক দম্পতিকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১১৫ গ্রাম হেরোইন। যার বাজার মূল্য আড়াই লক্ষ টাকা। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতরা হল আশিক আলি এবং আবেদা খাতুন। তাদের বাড়ি তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের ঝাউকুঠিতে। 


    শনিবার রাতেই ওই দুই বিক্ষিপ্ত ঘটনা নিয়ে তুফানগঞ্জ থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কৃষ্ণগোপাল মিনা। তিনি বলেন, দু’টি পৃথক ঘটনায় মোট তিনজন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এত বিপুল পরিমাণ মাদক কোথায়, কি উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আন্তঃরাজ্য পাচার চক্র ঠেকাতে পুলিস সবসময় সজাগ রয়েছে। 


    অসম-বাংলা সংযোগকারী ১৭ নম্বর জাতীয় সড়ককে ট্রানজিট করে মাদক পাচার চক্র ক্রমশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এরআগেও একাধিকবার এই রুটে মাদক পাচারের চেষ্টা করেছে দুষ্কৃতীরা। কখনও পাচারে ব্যবহার করা গাড়িতে গোপন চেম্বার বানানো হয়েছিল। কখনও কোনও কাঁচা সব্জির আড়ালে মাদক পাচার করা হয়েছিল। তবে পুলিসি সক্রিয়তায় মাদক পাচারকারীরা ধরা পড়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন এএসপি কৃষ্ণগোপাল মিনা। তিনি বলেন, জেলার প্রতিটি রুটেই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।  
  • Link to this news (বর্তমান)