সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: মাথাভাঙা বিধানসভাজুড়ে একের পর এক ভোটারের এপিক নম্বরে গোলমাল নজরে আসার ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার মাথাভাঙা-২ ব্লকের বড় শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি কমলেশ অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বড় শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের মুকুলডাঙার ৩৭ নম্বর বুথে ১০০ জনের ভোটার এপিক নম্বর যাচাই করা হয়েছে। সেখানে মোট ২২ জনের এপিক নম্বরে ভিনরাজ্যের ভোটার কার্ড দেখা যাচ্ছে। এরমধ্যে সিংহভাগই উত্তরপ্রদেশের। গোটা বুথে প্রায় এক হাজার ভোটার আছেন। এ ধরনের ঘটনা হলে বুথে দু’শোরও বেশি ভোটারের গরমিল হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
অপরদিকে, এদিন মাথাভাঙা শহরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এপিক নম্বর যাচাই করেন তৃণমূল কাউন্সিলার ও নেতা-কর্মীরা। এদিনও বেশ কয়েকজনের এপিক নম্বরে গরমিল নজরে এসেছে। পুর চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিক এদিন নিজের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এপিক নম্বর যাচাই করতে বেরিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ওয়ার্ডে দু’জনের নামে গরমিল নজরে এসেছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটার তালিকায় গরমিলের আশঙ্কা প্রকাশ করার পর আসরে নামেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার প্রথমদিনই কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা বিধানসভা এলাকার ফুলবাড়িতে আরতি সরকারের এপিক নম্বরে গরমিল নজরে আসে। তারপর পুরসভা এলাকায় এপিক নম্বর যাচাই করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। একটি ওয়ার্ডের একাংশে ৪৪ জনের গরমিল নজরে আসে। এদিন মাথাভাঙা-২ ব্লকের বড় শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়েও একের পর এক এপিক নম্বরে গরমিল দেখা গিয়েছে।
এদিন মুকুলডাঙা ৩৭ নম্বর বুথের জ্যোতিষ বর্মনের এপিক নম্বরে উত্তরপ্রদেশের নিজামাবাদ বিধানসভার ছামনা লাল নামে এক ব্যক্তির নাম আসছে। ওই বুথের আজিমা বিবির নামে উত্তরপ্রদেশের দিদারগঞ্জ বিধানসভার অন্য এক ব্যক্তির নাম ভেসে উঠছে। এ ব্যাপারে জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি কমলেশ অধিকারী বলেন, আমি এদিন বড় শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মুকুলডাঙায় ভোটার লিস্টে থাকা এপিক নম্বর যাচাই করতে বাড়ি বাড়ি যাই। আমরা ১০০ জন বাসিন্দার এপিক যাচাই করেছি। মোট ২২ জনের গরমিল তাতে নজরে এসেছে। এই বুথে এক হাজার ভোটার রয়েছেন। আমাদের আশঙ্কা, তারমধ্যে অন্তত দু’শো জন ভোটারের গরমিল হতেই পারে। গোটা বিষয়টি আমরা নেতৃত্বকে জানাচ্ছি।
মাথাভাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, এদিন আমি নিজের ওয়ার্ডে বেশকিছু বাড়িতে গিয়ে ভোটারের এপিক নম্বর যাচাই করেছি। তাতে দু’জনের গরমিল নজরে এসেছে। সোমবার এ নিয়ে জেলায় বৈঠক রয়েছে। সেখানে কি নির্দেশ দেওয়া হয় সেই অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ নেব।