নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ ও সংবাদদাতা, চোপড়া: পুলিসের হাত থেকে ‘ছিনতাই’ হওয়া মজিবুল রহমানের পাশে দাঁড়িয়ে এবার বিতর্কে চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান। তোপ দাগলেন তৃণমূলের সুজালি অঞ্চল সভাপতি আব্দুল সাত্তারের বিরুদ্ধেও। শনিবার সাত্তার বলেছিলেন,মজিবুল পালানোর পর তার কয়েকজন সঙ্গী পুলিসের ভয়ে সুজালিতে ঢোকার চেষ্টা করে। তারা গ্রামবাসীদের বাধা পেয়ে শূন্যে ৬ থেকে ৭ রাউন্ড গুলি চালায়। পুলিসকে চার রাউন্ড গুলির খোল জমা দেওয়া হয়েছে। সেই মন্তব্য নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। যা নিয়ে তেড়েফুঁড়ে উঠেছেন বিরোধী দলগুলিও।
হামিদুল বলেন,মজিবুল শুধু একবার নয়,দু’বারের পঞ্চায়েত সদস্য। ভালো ছেলে। পুলিস ওকে কেন ধরতে এসেছিল, সেটাও জানা যায়নি। শনিবার যখন মজিবুলকে পুলিস ধরতে আসে,তখন তার বাড়ির কয়েকজন মহিলা তাদের বলেছিলেন, কোন মামলায় ধরতে এসেছেন? ওয়ারেন্ট আছে? কেস নম্বর দিন। তখন কোনও ঝঞ্ঝাট ছাড়াই পুলিস মজিবুলকে ছেড়ে দেয়।
বিধায়কের দাবি, গ্রামের এক সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে মজিবুলের বংশগত রেষারেষি আছে। সেজন্যই ঘটনাস্থলে উত্তেজনা তৈরি হয়। কিন্তু এখন চক্রান্ত করে বলা হচ্ছে পুলিসকে মেরেছে, গাড়ি ভেঙেছে। এসব অভিযোগ ঠিক নয়। এ ব্যাপারে বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক ভবেশ কর বলেন, তৃণমূল বরাবর দুষ্কৃতীদের আড়াল করার চেষ্টা করে। এটা কোনও ব্যতিক্রম ঘটনা নয়। চোপড়া থানার বর্তমান আইসি নিরপেক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে হামিদুলের বক্তব্য প্রসঙ্গে সিপিএমের চোপড়া-২ নম্বর এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিদ্যুৎ তরফদারের মন্তব্য, চোপড়া সন্ত্রাসের আঁতুরঘর। তৃণমূলে মজিবুলরাই সম্পদ। সামনে বিধানসভা ভোট রয়েছে বলে বিধায়ক মজিবুলকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন। এদিকে শনিবার পুলিস ভ্যান থেকে মজিবুলকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সরব হয়েছেন আহত সিভিক ভলান্টিয়ারের দাদা আনিসুল রহমান। তিনি বলেন, মজিবুল বন্দুক, গুলি, বারুদের ব্যবসা করে। এলাকায় কেউ জমি বিক্রি করতে হলে মজিবুলের কাছে আগে যেতে হবে। তাঁর জন্যই কালিকাপুরে অশান্তি। উনি ভালো হলে পুলিসের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে হতো না। এলাকার মানুষ সবই জানেন।