সংবাদদাতা, কুমারগ্রাম: বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন এক মহিলা। রবিবার দিনভর জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়েও ওই মহিলার খোঁজ মিলল না। এ ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কুমারগ্রাম ব্লকের বারোবিশায়।
বনদপ্তর জানিয়েছে, নিখোঁজ মহিলার নাম শুক্লা দাস। তিনি ভল্কা-বারোবিশা ১ পঞ্চায়েতের বারোবিশা মৌজার বাসিন্দা। শনিবার দুপুরে শুক্লা সহ আরও দুই মহিলা ও এক পুরুষ বারোবিশা বিটের জঙ্গলে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে যান। গভীর জঙ্গলে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহের জন্য একেক জন একেক দিকে চলে যান। বিকেলে দুই মহিলা ও এক পুরুষ ফিরে এলেও শুক্লা দাস ফিরে আসেননি। এই খবর জানাজানি হতেই গোটা গ্রামে শোরগোল পড়ে যায়।
শনিবার রাত পর্যন্ত বনদপ্তর ও স্থানীয়রা মিলে খোঁজাখুঁজি করেও শুক্লার সন্ধান পাননি। রবিবার সকালে ফের জঙ্গলে তল্লাশি শুরু হয়। এরই মাঝে দুপুরে বারোবিশা বিট অফিসে আসেন কুমারগ্রাম থানার আইসি শমীক চট্টোপাধ্যায়, বারোবিশা ফাঁড়ির ওসি সুব্রত সরকার, বনদপ্তরের ভল্কার রেঞ্জ অফিসার প্রভাতকুমার বর্মন, ভল্কা-বারোবিশা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান রাজীব তির্কি। পুলিস আধিকারিকরা শুক্লা দাসের সঙ্গে জঙ্গলে যাওয়া বাকি তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বিকেলে বনদপ্তরের স্নিফার ডগ এসে পৌঁছয়। এরপর পুলিস ও বনদপ্তর যৌথভাবে স্নিফার ডগ নিয়ে জঙ্গলে তল্লাশি চালায়। রবিবার পর্যন্ত নিখোঁজ মহিলার খোঁজ মেলেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার স্বামী বুধেশ্বর দাস কর্মসূত্রে অসমে থাকেন। এই খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে আসার জন্য রওনা হয়েছেন। পুলিস ও বনদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার ফের তল্লাশি চালানো হবে। এদিকে, জঙ্গলের ভিতর গিয়ে ওই মহিলার নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। শুক্লা দাস কোনও বন্যপ্রাণীর হামলার মুখে পড়েছেন? নাকি তিনি নিখোঁজ হওয়ার নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে? এইসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে স্থানীয়দের মধ্যে।
ভল্কা-বারোবিশা ১ পঞ্চায়েতের উপ প্রধান বলেন, জঙ্গলে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে চারজন মিলে গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে এক মহিলা নিখোঁজ। এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। মহিলাকে খুঁজে বের করতে পুলিস ও বনদপ্তর সাধ্যমতো চেষ্টা চালাচ্ছে। আশা রাখছি, শুক্লা দাস সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসবেন।