ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক
বর্তমান | ০৩ মার্চ ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পেয়েই ভুয়ো ভোটার খুঁজতে ময়দানে নেমে পড়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এই কাজে আরও গতি আনতে ডাকা হয়েছে সাংগঠনিক বৈঠক। দলনেত্রীর তৈরি করে দেওয়া কোর কমিটির সদস্য এবং জেলার পদাধিকারীদের নিয়ে বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে বৈঠকে হবে। ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করতে স্ক্রুটিনির কাজে কীভাবে আরও গতি আনা যায়, তা নিয়ে সেখানে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভুয়ো ভোটারের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভুয়ো ভোটারের খোঁজ মিলেছে কয়েকদিন আগে। তারপর মুর্শিদাবাদের রানিনগর, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর সহ একাধিক জায়গায় একই এপিক কার্ড নম্বরে দু’জন ব্যক্তির অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সভা থেকে এনিয়ে সরব হন তৃণমূল নেত্রী। সেখানেই তিনি দলের কর্মীদের ভোটার তালিকা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন। ওই সভাতেই একটি কোর কমিটির কথা ঘোষণা করেন মমতা। কমিটির ৩৬ জন সদস্যের নাম জানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সাতদিনের কোর কমিটির বৈঠক ডাকার নির্দেশ দেন তিনি। সেইমতো আগামী বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে বৈঠক ডেকেছেন কমিটির প্রধান তথা তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। রাজ্যের সবক’টি জেলার তৃণমূল জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যানদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে। এই বৈঠকে জেলাভিত্তিক পর্যালোচনা হবে। কোন বিধানসভাগুলিতে বাড়তি নজর দিতে হবে, তাও উঠে আসবে আলোচনায়। ভুয়ো ভোটার নিয়ে জেলাভিত্তিক স্ক্রুটিনির কাজে যাতে কোনও
খামতি না থাকে, সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট বার্তা দেওয়া হবে। বুথের কর্মীদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা, এলাকায় বাইরের কেউ আসছে কি না, ভিন রাজ্যের কোনও ভোটারের নাম তালিকায় উঠেছে কি না— এসব বিষয়ে কড়া নজরদারির নির্দেশ যাবে কর্মীদের কাছে। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের উপরও চাপ বজায় রাখছে তৃণমূল। একই নম্বরের এপিক কার্ডে দু’জন ভোটার থাকে কীভাবে, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে তাদের তরফে। এখন থেকে তৃণমূল ভবনে চারজন করে নেতা প্রতিদিন বসবেন। কারা কোন দিন বসবেন, কোন জেলার সঙ্গে আলোচনা করবেন, তার যাবতীয় রূপরেখা স্থির হবে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে।