• বিড়ি শ্রমিকদের নিয়ে উদাসীন কেন্দ্র, দিল্লিতে সরব আইএনটিটিইউসি
    বর্তমান | ০৩ মার্চ ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সারা দেশে যত বিড়ি শ্রমিক আছেন, তার অর্ধেকই আছেন পশ্চিমবঙ্গে। অথচ বিড়ি শ্রমিকদের স্বার্থে কেন্দ্রের শ্রম মন্ত্রকের সদর্থক কোনও উদ্যোগ নেই। এই অভিযোগ এবার সরাসরি দিল্লিতে তুলে ধরল তৃণমূল। শ্রমমন্ত্রকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্যসভার সংসদ তথা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রের উচিত শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি না ছুটিয়ে শ্রমিক স্বার্থে কিছু করে দেখানো।


    শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ জেলায় কয়েক লক্ষ বিড়ি শ্রমিক রয়েছেন। সংখ্যাটা পাঁচ লক্ষের বেশি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারা দেশে ২২-২৩ লক্ষের মতো বিড়ি শ্রমিক রয়েছেন। ২৫ শতাংশের বেশি বিড়ি শ্রমিক রয়েছেন শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ জেলায়। এছাড়াও মালদহ, নদীয়া, দুই ২৪ পরগনা সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলায়ও বহু বিড়ি শ্রমিক রয়েছেন। মুর্শিদাবাদে তারাপুর বিড়ি শ্রমিক কল্যাণ হাসপাতাল রয়েছে। এই হাসপাতালটি কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে থাকলেও তা ধুঁকছে বলেই অভিযোগ শ্রমিকদের। গত ডিসেম্বরে সেখানে সমাবেশ করে আইএনটিটিউসি। শ্রমিকদের কাছ থেকে হাসপাতাল সম্পর্কে বিভিন্ন অভাব-অভিযোগ উঠে আসে। সেগুলি শ্রমমন্ত্রকের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন ঋতব্রত। ৬৫ বেডের ওই হাসপাতালে মাত্র দু’জন ডাক্তার। পর্যাপ্ত সংখ্যায় নার্স নেই, এক্স-রে মেশিন খারাপ, ল্যাব টেকনিশিয়ান নেই। সূত্রের খবর, কেন্দ্র যাতে এক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেই দাবি পেশ করেছেন তৃণমূল সাংসদ। 


    দিল্লিতে তাঁদের সমস্যা উত্থাপিত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিড়ি শ্রমিকদের মধ্যে খুশির হওয়া। বিধায়ক তথা বিড়ি শ্রমিকদের সংগঠনের নেতা আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের আওয়াজ দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত আছি।’ অন্যদিকে, হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের কিছু বিষয়ও স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে তুলে ধরেছেন ঋতব্রত। অভিযোগ, সেখানে দু’-একটি সংস্থা রয়েছে, যারা শ্রমিকদের পিএফের টাকা জমা করছে না। শ্রমিকদের থেকে টাকা কেটে নিলেও কোম্পানি সেই টাকা দিচ্ছে না। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
  • Link to this news (বর্তমান)