ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট জমা দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন
বর্তমান | ০৩ মার্চ ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট (জন্মের শংসাপত্র) জমা দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন। নথি যাচাই করতে গিয়ে পুলিসের চোখে পড়ে জন্মের শংসাপত্রটি জাল। এরপর কলকাতা পুলিসের সিকিওরিটি কন্ট্রোল (এসসিও) শনিবার রাতে তারাতলার হাইড রোড থেকে গ্রেপ্তার করে পাসপোর্ট আবেদনকারী লক্ষ্মণ কুমারকে। পুলিসের কাছে ধৃতের দাবি, দালাল টাকা নিয়ে নকল বার্থ সার্টিফিকেট বানিয়ে দিয়েছে তাকে। লক্ষ্মণের মোবাইলের কল লিস্ট দেখে সেই দালালের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।
লক্ষ্ণণ পশ্চিম বন্দর থানা এলাকার বাসিন্দা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি বিদেশে চাকরি পেতে অনলাইনে আবেদন করার পর একটি সংস্থায় কাজ পান। কিন্তু পাসপোর্ট না থাকায় যেতে পারছিলেন না। পাসপোর্টের জন্য কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে জন্মের শংসাপত্র না থাকায় সমস্যা তৈরি হয়। তখন এক দালালের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। সেই ব্যক্তি নকল বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এ কাজের জন্য টাকার দাবি করেন। তারপর বিহারের একটি ঠিকানার উল্লেখ করে লক্ষ্মণের নকল বার্থ সার্টিফিকেট বের করে দেন ওই ব্যক্তি। লক্ষ্ণণ তা জমা দেন পাসপোর্টের আবেদনের সঙ্গে। পাসপোর্ট অফিস নথিপত্র পরীক্ষা করে। এরপর পাঠায় পুলিসের কাছে। নথি পরীক্ষার সময় বার্থ সার্টিফিকেটটি দেখে সন্দেহ হয় পুলিসের। বিহারের সে ঠিকানা যাচাই শুরু করে। যে পঞ্চায়েত অফিস সার্টিফিকেট দিয়েছিল সেখানে খোঁজ চালায়। বিহারের সেই পঞ্চায়েত অফিস জন্মের শংসাপত্রের কপি দেখে জানায়, এই বার্থ সার্টিফেকেট তারা ইস্যুই করেনি। কলকাতা পুলিস পশ্চিম বন্দর থানায় অভিযোগ জানায়। থানা প্রতারণা, জালিয়াতি সহ একাধিক ধারায় লক্ষ্ণণের বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর তদন্তভার নেয় সিকিওরিটি কন্ট্রোলের তদন্তকারী উইং। তারা নথিপত্র ফের পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিতে পাঠায়। বিহার থেকে আবার একই উত্তর আসে। এ সময় মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিস লক্ষ্মণের খোঁজ পায়। গ্রেপ্তারও করে। জিজ্ঞাসাবাদে লক্ষ্ণণ জানান, চাকরি পেতে নকল শংসাপত্র জোগাড় করেছিলেন। অনুমান, জাল সার্টিফিকেটের নেপথ্যে কোনও চক্র রয়েছে। সে চক্রের খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।