• দুই ২৪ পরগনাজুড়ে একের পর এক নদী বাঁধে ধস, প্রবল আতঙ্কে স্থানীয়রা
    বর্তমান | ০৩ মার্চ ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও সংবাদদাতা, বসিরহাট: একের পর এক ধস দুই ২৪ পরগনার নদী বাঁধে। রবিবার সকালে হাসনাবাদ থানার পাশে ইছামতীর বাঁধে এবং দুপুরে হিঙ্গলগঞ্জের সাহেবখালিতে রায়মঙ্গলের বাঁধে ধস নামে। এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর দুই জায়গাতেও নদী বাঁধে ধস নেমেছে। সব জায়গাতেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে মেরামতির কাজ।


    এদিন সকাল দশটা নাগাদ হাসনাবাদ থানা সংলগ্ন এলাকায় আচমকাই ইছামতী নদীর বাঁধের প্রায় ২০০ ফুট তলিয়ে যায়। এতে নদীর পাড় সংলগ্ন কয়েকটি বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি।


    তাঁদের বক্তব্য, নদীর পাড় সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে মাল বোঝাই লরি যাতায়াত করে। তার কম্পনে এই বাঁধ ভাঙার ঘটনা ঘটতে পারে। এই বিষয়ে বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক ডাঃ সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইতিমধ্যে ভাঙন এলাকায় যে রাস্তাটি আছে, তা দিয়ে ভারী গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দ্রুত নদীর বাঁধটির মেরামতি করা হচ্ছে। এছাড়া নদীপাড় এলাকার যেসব বাসিন্দাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তদন্ত করে সরকারিভাবে তাঁদের পাশে দাঁড়াবার চেষ্টা করব।


    অন্যদিকে, এদিন দুপুরে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সাহেবখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের রুমাপুর হাইস্কুল সংলগ্ন রায়মঙ্গল নদীর বাঁধও প্রায় ৪০০ ফুট বসে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল। সরকারি আধিকারিকরাও আসেন। দ্রুত ওই বাঁধ মেরামতি করা হবে বলে আশ্বাস দেন তাঁরা। অন্যদিকে, বাসন্তীর দুই জায়গায় নদীবাঁধে ধস মেরামতি শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন। বাসন্তীর পুরন্দর এবং নফরগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধারানি লকগেট সংলগ্ন বাঁধে ধস নেমেছে। কয়েকদিন আগে অমাবস্যার কোটালে নদীর ঢেউয়ের ঝাপটায় এই বিপত্তি ঘটে। জায়গা দু’টিতে আপাতত মাটির বস্তা ফেলা হচ্ছে। এছাড়াও শালবল্লা দিয়ে মাটি ধরে রাখার কাঠামো তৈরি করে নদীর ধারে বসাচ্ছেন সেচদপ্তরের কর্মীরা। 


    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অনেকদিন ধরেই এই বাঁধ লাগোয়া এলাকার অবস্থা খারাপ। মাঝেমধ্যেই ভাঙন হচ্ছিল। তবে এবার বড় আকারে ধস নেমেছে। এ প্রসঙ্গে বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, অত্যন্ত দ্রুত কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা দু’টি মেরামত করে দিলে আর সমস্যা হবে না। এদিকে, ওই রাধারানিপুর লকগেটে আরও একটি নতুন স্লুইস গেট করার কথা রয়েছে। এই কাজের ডিপিআর-ও তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার টাকা এখনও বরাদ্দ না হওয়ায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।
  • Link to this news (বর্তমান)