জীবিত ভোটাররা তালিকা থেকে গায়েব! তৃণমূলের স্ক্রুটিনিতে সামনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
বর্তমান | ০৩ মার্চ ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কয়েক মাস আগের লোকসভা নির্বাচনেও ভোট দিয়েছেন তাঁরা। এখনও বেঁচেবর্তে আছেন প্রত্যেকে। কিন্তু ভোটার তালিকা থেকে তাঁদের নাম উধাও! এমনই আজব ঘটনা ঘটেছে উল্টোডাঙা, মুচিবাজার এলাকায়। তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলাররা এখন বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোটার লিস্ট স্ক্রুটিনি করছেন। সেই কাজ করতে গিয়েই সামনে এসেছে এই ঘটনা। রহস্যজনকভাবে ভোটার তালিকা থেকে উবে গিয়েছে জীবিত ভোটারদের নাম। উল্টোডাঙা, মুচিবাজারের যে এলাকায় এই ঘটনা, সেই অঞ্চল কলকাতা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। সেখানকার কাউন্সিলার তথা বরো চেয়ারম্যান অনিন্দ্যকিশোর রাউতের দাবি, এরকম শতাধিক ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে। তাঁদের নামের তালিকা নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো হবে। কীভাবে এটা হল, কেন হল, নির্বাচন কমিশনকে কার উত্তর দিতে হবে।
উল্টোডাঙা, মুচিবাজার এলাকার দত্তবাগান, তেলেঙ্গাবাগানের একাধিক বাসিন্দার নাম নেই ভোটার লিস্টে। রবিবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভোটার লিস্ট স্ক্রুটিনির কাজে নেমেছেন ঘাসফুল শিবিরের নেতা-কর্মীরা। বাড়ি বাড়ি ঘুরে চলছে ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখার কাজ। সেই কাজ করতে গিয়েই ধরা পড়ে বিষয়টি। দত্তবাগানের বাসিন্দা পুতুল দাস বলেন, ‘লোকসভায়ও ভোট দিয়ে এসেছি। কোনও ভোট আমি মিস করি না। আমার নাম বাদ চলে গিয়েছে জানতে পেরে হতবাক হয়ে গিয়েছি।’ রবি দাস, আকাশ সাহা, গোপাল সাধুখাঁর মতো একাধিক নাম ভোটার তালিকা থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে। রবি দাস বলেন, ‘বেঁচে আছি দিব্য। অথচ আমার নাম ভোটার তালিকা থেকে ফেলে দিয়েছে।’
নির্বাচন কমিশনের পোর্টালে ঢুকে নাম বাদ যাওয়া ভোটারদের এপিক নম্বর মেলালে দেখাচ্ছে ‘রেজাল্ট নট ফাউন্ড’। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় এই এপিক নম্বর বা এই ভোটারের কোনও অস্তিত্ব নেই। অনিন্দ্যকিশোর রাউত বলেন, ‘স্ক্রুটিনি করতে গিয়ে এগুলি ধরা পড়ছে। বিভিন্ন পার্টে কোথাও ২৫, কোথাও ৩০ বা ৪০ জনের নাম বাদ গিয়েছে। জীবিত মানুষের নাম ভোটার লিস্ট থেকে কীভাবে বাদ গেল, নির্বাচন কমিশনের কাছে তালিকা পাঠিয়ে তা জানতে চাওয়া হবে। কমিশনকে এর জবাব দিতে হবে।’
ওই অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টদের কথায়, একই বাড়িতে মা এবং ছেলের নাম বাদ চলে গিয়েছে। প্রকৃত ভোটারদের নাম লিস্ট থেকে কেটে দেওয়া হয়েছে। এমন আরও কেস সামনে আসবে।