• নজর কাড়ছে বদলে যাওয়া বাঁশদ্রোণী বাজার, সেলফি জোনে ছবি তোলার হিড়িক, ভোল বদলে চমক দিচ্ছে বাসস্টপও
    বর্তমান | ০৩ মার্চ ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাস্তার ধারে পড়ে থাকত ময়লা-আবর্জনা। বাজারের পচা সব্জি থেকে শুরু করে পরিত্যক্ত প্লাস্টিক সব নানা আবর্জনা জমা হতো খোলা ভ্যাটে। দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে উঠত। বাঁশদ্রোণীর পুর-বাজারের সামনে এটাই ছিল দৈনন্দিন চিত্র! কিন্তু এখন গোটা অঞ্চলের ভোল পাল্টে গিয়েছে। খোলা ভ্যাট অতীত। বাজারের সংস্কার করে সামনে তৈরি হয়েছে ‘সেলফি জোন’। রয়েছে বসার জায়গা। সেই সঙ্গে বাজার সংলগ্ন ভাঙাচোরা বাঁশদ্রোণী বাসস্টপেরও সংস্কার করা হয়েছে। শহরের বুকে এমন সুদৃশ্য বাসস্ট্যান্ড আর একটিও নেই বলে দাবি স্থানীয়দের। সব মিলিয়ে বদলে গিয়েছে ওই চত্বরের হাল। সম্প্রতি নবরূপে সজ্জিত বাজার ও বাসস্টপের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ছিলেন স্থানীয় ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অরূপ চক্রবর্তী সহ আরও অনেকে। অরূপ বিশ্বাস গোটা জায়গাটি সাজিয়ে তোলার দায়িত্ব দিয়েছিলেন ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সন্দীপ দাসকে। 


    বাঁশদ্রোণীর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস রোডের উপরেই রয়েছে পুরসভার বাজার। এই সেদিন পর্যন্তও তার সামনে দিয়ে যেতে গেলে নাকে রুমাল চাপা দিতে হতো পথচারীদের। রাস্তার একদম গা ঘেঁষে খোলা ভ্যাটটি থাকায় কুকুর, বিড়াল, কাক মুখে করে আবর্জনা ছড়িয়ে দিত রাস্তার উপরেই। সেই ভ্যাট আগেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে আধুনিক কম্প্যাক্টর স্টেশন। তারপর বাজারের সামনে জায়গাটি প্রশস্ত করে সেখানে মার্বেল, টাইলস দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। বিশ্রামের জন্য বসানো হয়েছে বেঞ্চ। রেলিং দিয়ে ঘিরে জায়গাটিকে ‘সেলফি জোন’ করা হয়েছে। বাজারের দেওয়ালে শোভা পাচ্ছে নানা কারুকাজ। নজর কাড়ছে ‘পাখির ডানা’। সেখানেই সেলফি তুলতে আসছেন অনেকে। স্থানীয় বাসিন্দা বুধাদিত্য সাহা বলেন, ‘জায়গাটা কোনওদিন এভাবে সেজে উঠবে, ভাবতেই পারিনি। এলাকার চেহারাই বদলে গিয়েছে। বাসস্টপটা এত সুন্দর বানিয়েছে যে শহরে এমন যাত্রী প্রতীক্ষালয় আর দু’টি নেই। তবে শুধু সুন্দর করে সাজালেই হবে না, এগুলি রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে।’ অরূপ বিশ্বাসের বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলের অর্থে বাসস্টপটির সংস্কার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাজার সংস্কারের ক্ষেত্রে মন্ত্রীর বিধায়ক তহবিলের পাশাপাশি পুরসভাও অর্থ খরচ করেছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)