এই সময়: পুরোনো ট্র্যাডিশন মেনে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল প্রান্তে ফিরছে বাম ব্রিগেডের মূল মঞ্চ। কিন্তু রেওয়াজ অনুযায়ী দূরের জেলার কর্মী–সমর্থকদের জন্য ময়দানে রাত্রিবাসের ব্যবস্থা এ বার করছে না আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে সিপিএমের ছাত্র–যুবদের ব্রিগেড সমাবেশে চিরাচরিত প্রথা ভেঙে ভিক্টোরিয়ার উল্টোদিকে প্রথমবার মঞ্চ করা হয়েছিল। কিন্তু সিপিএমের শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর সংগঠন সেই রাস্তায় হাঁটতে নারাজ। ব্রিগেডে আগামী ২০ মার্চ সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ–সহ যেখানে যেখানে সিপিএম চারটি গণসংগঠনের নেতৃত্ব আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন সেখানে ভিক্টোরিয়ার প্রান্তে মঞ্চ করার কথা বলা হয়েছে।
সিটু, প্রাদেশিক কৃষক সভা, খেতমজুর সংগঠন, বস্তি সংগঠনের ব্যানারে ডাকা হয়েছে এই ব্রিগেড। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা খেতমজুর সংগঠনের নেতা নিরাপদ সর্দারের কথায়, ‘চিরকাল ময়দানের যে প্রান্তে মঞ্চ হয়, সেই দিকেই আমরা মঞ্চ করব। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের দূরের জেলা থেকে মানুষজন সমাবেশের দিন সকালে আসবেন। এই কারণে এ বার ব্রিগেডে রাত্রিবাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না।’ সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহুর কথায়, ‘দূরের জেলা থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু সেটা কোথায় করা হবে, তা সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পরে বলতে পারব। তবে ময়দানে কোনও রান্না করা হবে না।’
মার্চের যে সময়ে ব্রিগেড হতে চলেছে, তখন রোদের তেজ আরও বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। ব্রিগেড সমাবেশ শুরুর সময় বিকেল ৩টে। ফলে প্রবল গরমের মধ্যে সমাবেশ শুরু হবে। এই কারণে ময়দান চত্বরে পর্যাপ্ত পানীয় জলের বন্দোবস্ত, অসুস্থতার ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থাও করে রাখতে চাইছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। বাম ছাত্র–যুবদের ব্রিগেডের তুলনায় আরও বড় জমায়েত করার পরিকল্পনা করেছেন সিপিএমের শ্রমিক ও কৃষক নেতৃত্ব।
কৃষকসভার নেতা অমল হালদারের কথায়, ‘আগামী ১৯ মার্চ উত্তরবঙ্গ থেকে যে ট্রেনগুলি হাওড়া বা শিয়ালদহের দিকে আসবে, সেগুলিতে আমরা বুকিং করেছি। জেলায় জেলায় বাস বুকিং করা শুরু হয়েছে। বড় জমায়েত হবে।’ সিপিএমের কৃষক সংগঠন মূলত পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, নদিয়া থেকে বড় সংখ্যায় লোক আনতে চাইছে। খেতমজুর সংগঠনের লক্ষ্য উত্তর ২৪ পরগনা থেকে বেশি লোক নিয়ে যাওয়া। ব্রিগেডে এই সংগঠনগুলির নেতৃত্বের সঙ্গে অন্যতম বক্তা হিসেবে থাকবেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।