চাঁদকুমার বড়াল, কোচবিহার
কোচবিহার শহরজুড়ে একাধিক সরকারি, বেসরকারি ভবন, অফিস, বহুতল, মল, হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু সবত্রই ঢিলেঢালা অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা রয়েছে বলে অভিযোগ। পুনর্নবীকরণ করা হচ্ছে না ফায়ার লাইসেন্স। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে এবং পরিকাঠামো ঠিক করতে নির্দেশ দমকলের। আজ তার প্রথম কিস্তি।
কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। পাশাপাশি এই হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগের সমস্ত ব্যবস্থাই প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। বড়সড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে তা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা। কারণ এই মেডিক্যালের ভিতরে সাইলেন্ট ডিটেক্টর, স্প্রিং কিলারগুলোর সিংহভাগই দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। কেন এগুলো ঠিক করা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে কর্তৃপক্ষ। কোচবিহার ফায়ার স্টেশন থেকে মেডিক্যালের অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা পরিদর্শনের পর দ্রুত পরিকাঠামো ঠিক করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল নির্মলকুমার মণ্ডল বলেন, ‘অকেজো যন্ত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
২০১১ সালে কলকাতার আমরি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এখনও দগদগে। এর মধ্যেই এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং তার পাশেই থাকা মাতৃমায় অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা বেশ নড়বড়ে। তাই এখানে হঠাৎ করে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে তা সামলানো কঠিন হয়ে পড়বে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। কারণ, এই হাসপাতালের ইন বিল্ডিং ফায়ার ফাইটিং সিস্টেমের পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। আগুন লাগলে যে স্প্রিং কিলার দিয়ে জল পড়বে সেগুলোর সিংহভাগই খারাপ।
একইসঙ্গে আগুনের ধোঁয়া ছড়াতে শুরু করলে যে সাইলেন্ট ডিটেক্টর দিয়ে আওয়াজ বের হয়ে সকলকে সতর্ক করে সেগুলোর মধ্যেও বেশ কিছু খারাপ হয়ে রয়েছে। এই সাইলেন্ট ডিটেক্টরের অনেকগুলো আবার সামনের অংশ ভাঙ্গা অবস্থাতেই রয়েছে। এত বড় একটি মেডিক্যালে কলেজে যেখানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭০০ রোগী ভর্তি থাকেন তার অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার এই হাল নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ বিষয়ে কোচবিহার ফায়ার স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ শংকর সেন বলেন, ‘হাসপাতালের সমস্ত কিছু পরিদর্শন করা হয়েছে। খামতিগুলোর সবটাই কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’