এই সময়, মালদা: জাতীয় সড়ক হলেও নেই পথবাতি। অন্ধকারে সেই সড়ক পার হওয়ার সময় বেপরোয়া লরির ধাক্কায় মৃত্যু হলো এক যুবকের। এরপরই সংশ্লিষ্ট এলাকার রাস্তার মোড়ে পথবাতির দাবিতে গভীর রাত পর্যন্ত টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভের জেরে এলাকায় পথবাতি বসাতে বাধ্য হয় প্রশাসন। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা থানার ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের শিমুলঢাব এলাকার ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে। মৃতের নাম জোনা সোরেন (২৪)। তাঁর বাড়ি পুরাতন মালদা থানার বালিয়া নবাবগঞ্জ এলাকায়। শনিবার ওই যুবক শ্বশুরবাড়িতে ঘুরতে এসেছিলেন। রাতে একটি নৈশ ফুটবল টুর্নামেন্ট দেখে বাড়ি ফিরছিলেন। তারপরই এই দুর্ঘটনা।
গ্রামের জামাইয়ের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই কাতারে কাতারে মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং অবরোধ করেন। ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে যানজটে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় পুরাতন মালদা থানার পুলিশ বাহিনী। কিন্তু পুলিশের সামনেই পথবাতির দাবিতেই অবরোধ চালিয়ে যান গ্রামবাসীরা। অবশেষে শিমুলঢাব এলাকার মোড়ে বিক্ষোভকারীদের দাবিমতো বসানো হয় পথবাতি।
তারপরই অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা। মৃতের এক আত্মীয় সুনীল সোরেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকার রাস্তার মোড়ে ট্র্যাফিক মোতায়ন এবং পথবাতির দাবি করা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যার ফলে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে।’ ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান প্রভুনাথ দুবে বলেন, ‘শিমুলঢাব এলাকার জাতীয় সড়কের মোড়ে সন্ধ্যার পর ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে থাকে। এরই মধ্যে বেপরোয়া ভাবে ভারী যানবাহনগুলি চলাচল করে। ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে পারাপার করতে হয়। বিষয়টি প্রশাসনের নজরেও এনেছিলাম।’
পুরাতন মালদার বিডিও সেঁজুতি পাল মাইতি বলেন, ‘স্থানীয় গ্রামবাসীদের কথামতোই ওই এলাকায় পথবাতি বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে ট্র্যাফিক ব্যবস্থা মোতায়নের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।’