• হদিশ দিতে ব্যর্থ পুলিশ কুকুরও, বক্সার জঙ্গলে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ মহিলা
    এই সময় | ০৩ মার্চ ২০২৫


  • এই সময়,আলিপুরদুয়ার: অসম সীমানা লাগোয়া বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে গিয়ে নিখোঁজ মহিলা। বক্সার ভলকা রেঞ্জের বারোবিশা বিটের শীল বাংলোর জঙ্গলে আরও তিন সঙ্গীর সঙ্গে কাঠ কুড়োতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাকি তিন সঙ্গী ফিরে এলেও ওই মহিলার হদিশ না মেলায় তাঁর বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা প্রায় ক্ষীণ বলে মনে করছেন বনকর্তারা।

    জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে বারোবিশার বাসিন্দা তিন মহিলা মনসা বর্মন, রত্না দাস ও শুক্লা দাস তাঁদের আত্মীয় বিকাশ দাসের সঙ্গে শীল বাংলোর জঙ্গলে জ্বালানি কাঠ কুড়োতে যান। কাঠ কুড়িয়ে এক জায়গায় তারা জড়ো করতে শুরু করেন। কুড়োনো শেষ হলে সবাই একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মিলিত হয়ে বাড়ি ফেরার কোথা থাকলেও দেখা যায়, মনসা ও রত্না এলেও আসেননি বিকাশ ও তাঁর ভাইয়ের বউ শুক্লা। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি ও খোঁজাখুঁজির পরও দু’জনের সাড়াশব্দ না পেয়ে গ্রামে ফিরে আসেন মনসা ও রত্না।

    গ্রামবাসীদের ওই ঘটনার কথা জানালে, গ্রামের মানুষ ও বনকর্মীরা নিখোঁজ বিকাশ ও রত্নাকে খুঁজতে জঙ্গলে যান। সন্ধ্যের মুখে জঙ্গলে খুঁজে পাওয়া যায় বিকাশকে। তিনি নিজেই ফিরে আসছিলেন বাড়িতে। কিন্তু শুক্লার কোনও হদিশ মেলেনি। বিকাশকে তাঁর ভাইয়ের বউয়ের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোনও তথ্য দিতে পারেননি। রবিবার সকাল থেকে ফের গ্রামের মানুষজন ও বনকর্মীরা তন্ন তন্ন করে খোঁজ চালান জঙ্গলে। শেষে যৌথ ভাবে জঙ্গল জুড়ে তল্লাশি শুরু করেন পুলিশ ও বনকর্মীদের একটি দল। নিখোঁজ মহিলার হদিশ পেতে মাঠে নামানো হয় বনদপ্তরের গোয়েন্দা কুকুর টাইগারকে। দিনের শেষে সে–ও ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে।

    ইতিমধ্যে জঙ্গলের বুনো হাতির একটি দলের আনাগোনা লক্ষ্য করে আর ঝুঁকি নিতে চাননি বনকর্তা ও পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁরা ফিরে আসেন। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি শুক্লা কোনও বন্যপ্রাণীর হামলার শিকার হয়েছেন? নাকি তাঁকে পরিকল্পিত ভাবে কেউ বা কারা খুন করে দেহ লোপাট করে দিয়েছে? ওই মহিলার বাকি তিন সঙ্গীকে জেরা করে পুলিশ তেমন কোনও তথ্য পায়নি। কোনও বন্যজন্তুর আক্রমণের কথাও তাঁরা জানাননি। জেলার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবমশী বলেন, ‘আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছি। ওই মহিলার হদিশ না মেলা পর্যন্ত প্রাথমিক ভাবে কিছুই বলা সম্ভব হচ্ছে না।’

  • Link to this news (এই সময়)