• বামপন্থী ছাত্রদের গুণ্ডামিতে লাভবান হবে তৃণমূলই
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৩ মার্চ ২০২৫
  • শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের কৃতকর্মের জন্য কি অদূর ভবিষ্যতে সিপিএমকে চড়া মূল্য দিতে হবে? প্রশ্নটা উঠে গিয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ওপর হামলা এবং তাঁর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে। শিক্ষাক্ষেত্রে হামলা-হাঙ্গামার রেকর্ড সিপিএমের কম নেই। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সন্তোষ ভট্টাচার্যের ওপর সিপিএম সমর্থকরা দিনের পর দিন হামলা চালিয়েছিল। এমন শারীরিক হেনস্থার হাত থেকেও ওই শিক্ষাবিদ রেহাই পাননি।

    এরকম আরও অনেক ঘটনা যুক্তফ্রন্টের আমল থেকেই লালপার্টি ঘটিয়ে এসেছে। স্কুল-কলেজকে কব্জায় আনার চেষ্টা অবশ্য মার্কসবাদীদের চিরাচরিত কৌশল। শনিবার ব্রাত্যবাবু কিন্তু যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছিলেন নির্দিষ্ট একটি সভায়। সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই তাঁকে একটি স্মারকলিপি দিতে চায়। শিক্ষামন্ত্রী তা গ্রহণও করেন। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সেটাই কাম্য।

    কিন্তু তারপর এসএফআই সমর্থকরা ব্রাত্যবাবুকে হেনস্থা করেন। গাড়ির ওপর বেপরোয়া আক্রমণ চালায়, সেটা ‘গুণ্ডামি’ ছাড়া আর কি বলা যাবে? গাড়ির ধাক্কায় একজন ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাটি অবশ্যই অনভিপ্রেত। কিন্তু বিধানসভায় যাদের আসন শূন্য, তারা কীকরে ভাবে, গুণ্ডামির মধ্যে দিয়ে মানুষের মন জয় করবে? উলটে তাদের প্রধান শত্রু তৃণমূল কংগ্রেস অতীতের লালপার্টির সন্ত্রাসের রাজনীতিকে টেনে মানুষের মনে কি শোক উসকে দিতে চেষ্টা করবে না? সেটা করাই তো স্বাভাবিক।

    এরই পাশাপাশি সিপিএমের ছাত্র সংগঠন নিজেদের কাণ্ডজ্ঞানহীন প্রমাণ করেছে, সোমবার ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়ে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুর দিনে এই রকম হঠকারী কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে তারা নিজেদের দেউলিয়া রাজনীতির রেকর্ড গড়ে একটি অধ্যায় যুক্ত করেছে। সুতরাং যাদবপুর-কাণ্ডে নিজেদের অপরাধ ঢাকতে সিপিএম যাই করুক না কেন, তাতে লাভবান হচ্ছে শাসক দলই।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)