গোবিন্দ রায়: ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভার দিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এবার এই ঘটনার জল গড়াল কলকাতা হাই কোর্টে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
মামলাকারীর দাবি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির ঘটনায় পুলিশ নিষ্ক্রিয়। অশান্তির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৭টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে ২টি করেছে পুলিশ। বাকি ৫টি এফআইআর তৃণমূলের তরফ থেকে করা হয়েছে। মামলাকারীর অভিযোগ, বাম ছাত্রদের কোনও অভিযোগ জমাই নেয়নি পুলিশ। অথচ তাদের মেসগুলিতে তল্লাশির নামে হেনস্তা করা হচ্ছে। অযথা আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। এই মর্মে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
উল্লেখ্য, গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা ছিল। অভিযোগ, ওইদিন সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অশান্তি তৈরির চেষ্টা শুরু করে বাম ছাত্ররা। ছাত্র সংসদ নির্বাচন-সহ একাধিক দাবিতে সুর চড়াতে থাকে তারা। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পৌঁছনোর আগে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে একদল বাম ছাত্র। চলে স্লোগানিং। পালটা তাতে বাধা দেয় টিএমসিপি। দু’পক্ষের হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তারই মাঝে শুরু হয় ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা। আচমকা সভাস্থলে পৌঁছে যায় বিক্ষোভকারীরা। তুমুল উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে থাকা তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির অফিসেও ব্যাপক ভাঙচুর শুরু হয়। আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ব্রাত্য বসুর গাড়ির চাকার হাওয়াও খুলে দেওয়া হয়। ধাক্কাধাক্কিতে চোট পান খোদ শিক্ষামন্ত্রী। এসএসকেএম হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসাও হয় তাঁর। বর্তমানে আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ শিক্ষামন্ত্রী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সোমবার রাজ্যের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দেয় এসএফআই। তার জেরে কোচবিহার, শিলিগুড়ি, মেদিনীপুরে দফায় দফায় অশান্তির ছবি ধরা পড়েছে।