• যমে-মানুষে টানাটানি, বিয়ের দিনেই মৃত্যু চুঁচুড়ার গুলিবিদ্ধ পুলিশকর্মীর
    প্রতিদিন | ০৩ মার্চ ২০২৫
  • সুমন করাতি, হুগলি: যমে-মানুষে টানাটানি চলেছিল দিন কয়েক। কিন্তু শেষপর্যন্ত হার মানতে হল। মারা গেলেন চন্দননগরের গুলিতে জখম পুলিশকর্মী হিমাংশু মাঝি। আজ সোমবার সকালে কলকাতার সিএমআরআই হাসপাতালে তিনি মারা গিয়েছেন বলে খবর। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। সব থেকে বড় কথা আজ সোমবার ছিল তাঁর বিয়ে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ইমামবাড়া হাসপাতালে পুলিশ লকআপে ডিউটিরত ছিলেন তিনি। সেসময় গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। সেই শব্দ শুনে ওই জায়গায় ছুটে গিয়েছিলেন কর্মরত অন্য পুলিশকর্মী ও হাসপাতালের স্টাফরা। রক্তাক্ত অবস্থায় হিমাংশুকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাঁকে কলকাতার সিএমআরআই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমেই অবনতি হতে থাকে। গতকাল থেকেই হিমাংশু মাঝির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক হয়। আজ সোমবার ভোর পাঁচটায় তিনি মারা গেলেন।

    সব থেকে বড় কথা আজই ওই পুলিশ কর্মীর বিয়ে ছিল। তার আগেই এই মর্মান্তিক ঘটনা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছে, তিনি সার্ভিস রিভলবার থেকে নিজেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন। যার তিন দিন পর বিয়ে, তিনি কেন এত কঠিন সিদ্ধান্ত নেবেন? বিয়ের জন্য ছুটিও মঞ্জুর হয়ে গিয়েছিল। তাহলে কোন প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? মানসিক অবসাদ থেকেই কি এই ঘটনা? সেই প্রশ্ন উঠেছে। হিমাংশু মাঝি বাঁকুড়ার হীরবাঁধের বাসিন্দা ছিলেন। চন্দননগর পুলিশ লাইনের র?্যাফে পোস্টিং ছিল তাঁর। চন্দননগর পুলিশ লাইনের বারাকে থাকতেন। ঘটনার কথা তাঁর বাড়িতে জানানো হয়েছিল। পরিবারের লোকজন তারপর থেকে হাসপাতালেই ছিলেন। মৃত্যুর খবরে কান্নার রোল বাড়িতে। ঘটনায় মুষড়ে পড়েছেন তাঁর সহকর্মীরা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)