• বিয়ের দিনেই মৃত্যু হুগলির গুলিবিদ্ধ কনস্টেবলের, শোকের ছায়া পরিবারে
    এই সময় | ০৩ মার্চ ২০২৫
  • ৩ মার্চই ছিল বিয়ের দিন। তার তোড়জোড় শুরু হয়েছিল বহু আগে থেকে। বাড়ির সামনে প্যান্ডেল বাঁধার জন্য বাঁশও পড়ে রয়েছে এখনও। বিয়ের দিনই হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন হুগলির ইমামবাড়া হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ পুলিশ কনস্টেবল হিমাংশু মাঝি। শুক্রবার তাঁকে হুগলির চুঁচুড়া থেকে গ্রিন করিডর করে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয়েছিল কলকাতার সিএমআরআই হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোর ৫টায় মৃত্যু হয় হিমাংশুর।

    উল্লেখ্য, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বন্দিদের উপর নজরদারির দায়িত্বে থাকাকালীন কনস্টেবল হিমাংশু মাঝি নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি ছুড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর মাথায় গুলি লাগে। তড়িঘড়ি তাঁর চিকিৎসাও শুরু হয়। পরে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের শত চেষ্টাতেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে। হিমাংশুর বাড়ি বাঁকুড়ার হীড়বাঁধে। চন্দননগর পুলিশ লাইনের ব্যারাকে পোস্টিং ছিল।

    সম্প্রতি তাঁর বিয়েও ঠিক হয়েছিল। গ্রামের বাড়িতে বিয়ের তোড়জোড়ও শুরু হয়েছিল জোরকদমে। শুক্রবার দুর্ঘটনার দিন থেকেই তাঁর ছুটিতে যাওয়ার কথা ছিল। ছুটি নিয়েও কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি বলে জানাচ্ছেন তাঁর উর্ধ্বতনরা। সেক্ষেত্রে কেন এই চরম পদক্ষেপ হিমাংশুর? তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছে।

    তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, ব্যক্তিগত জীবন ভালোই ছিল হিমাংশুর। পরিবারের কারও সঙ্গে কোনও সমস্যা ছিল না। হিমাংশুর ভাইও সিআরপিএফ-এ কর্মরত। বাড়িতে বাবা, মা ছাড়াও ঠাকুমা এবং দাদু রয়েছেন। হীড়বাঁধেরই একটি গ্রামে বিয়ে ঠিক হয়েছিল তাঁর। নতুন সম্পর্কে কি কোনও জটিলতা তৈরি হয়েছিল? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

  • Link to this news (এই সময়)