বিদ্যুৎ বিল জমা দেওয়ার নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকা জমা না করে ভুয়ো রসিদ দেন গ্রাহকদের। এমনটাই অভিযোগ তেহট্টের এক সাইবার ক্যাফে মালিকের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে সমীরণ কর্মকার নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে তেহট্ট থানার পুলিশ। তাঁর কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার দফতরের সামনেই ছিল সমীরণের সাইবার ক্যাফে। স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রাহকদের বিল জমা করে দেওয়ার নামে তাঁদের থেকে টাকা নিয়েছিলেন। পাশাপাশি, অনেকে অতিরিক্ত ‘লোড’ চেয়ে বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের কাছে আবেদন করার জন্যও টাকা দিয়েছিলেন সমীরণকে। কিন্তু তিনি সেই টাকা জমা না করে নিজের পকেটে ঢুকিয়েছেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নাজিরপুরে একটি পুকুর থেকে অবৈধ ভাবে মোটর চালিয়ে জল তোলার অভিযোগ ওঠে। তদন্তে গিয়ে বিদ্যুৎকর্মীরা দেখেন, ওই মোটরটি অতিরিক্ত লোডের মাধ্যমে চালানো হচ্ছে। কিন্তু দফতরের রেকর্ডে সেই ‘লোড’ নেওয়ার কোনও আবেদন বা অর্থ জমার নথি নেই। এর পরই সাইবার ক্যাফে মালিক সমীরণের উপর সন্দেহ তৈরি হয়।
তেহট্ট থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সমীরণ কয়েক মাস ধরে গ্রাহকদের অতিরিক্ত লোড এনে দেবে জানিয়ে টাকা নিত। তার পরে ভুয়ো রসিদ দিত। বিদ্যুৎ দফতরে সেই টাকা জমা পড়েনি। কম্পিউটার থেকে জাল রসিদ তৈরির প্রমাণ মিলেছে।’’ পুলিশের অনুমান, প্রায় লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন সমীরণ। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, সমীরণের ক্যাফেতে বিল জমা দিলে রসিদ আসত ঠিকই, কিন্তু মাসখানেক পর বিদ্যুৎ দফতর থেকে বকেয়া চেয়ে নোটিস পাঠানো হত। প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে। কিন্তু পরে ধাঁধা কাটে। এক গ্রাহক বলেন, ‘‘সমীরণকে জিজ্ঞেস করলে সে বলত, গোলমাল ঠিক হয়ে যাবে। শেষে বিদ্যুৎ দফতরই বিষয়টি খতিয়ে দেখল।’’