দলীয় কার্যালয়ে CPIM নেতা সুজন চক্রবর্তীকে তালাবন্দি করার অভিযোগ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে। সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে বারুইপুরে। CPIM-এর দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে পড়তে দেখা যায় তাঁদের। পার্টি অফিসের ভিতরে তখন উপস্থিত সুজন চক্রবর্তী, রাহুল ঘোষ, রতন বাগচি-সহ জেলা CPIM-এর নেতা ও কর্মীরা৷ বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় কার্যালয়ে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
উত্তেজনার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বারুইপুর থানার পুলিশ৷ CPIM কর্মীদের অভিযোগ, পতাকা হাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক দল সদস্য কার্যালয়ের ভিতর ঢুকে যায়। স্লোগান দিতে শুরু করে। তাঁদের নেতাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।
এই প্রসঙ্গে তৄণমুল নেতা ও বারুইপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাস জানান শিক্ষামন্ত্রীর উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে তাঁদের এই আন্দোলন৷ CPIM-এর পার্টি অফিসে ভবিষ্যতে তালা মেরে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেন তিনি৷ তাঁর বক্তব্য, ‘এই পার্টি অফিসে কোনও CPIM নেতাকে ঢুকতে দেওয়া হবে না৷ যাঁরা ভিতরে রয়েছে তাঁদের বাইরে বের হতে দেওয়া হবে না৷ বাইরে থেকেও কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’
বারুইপুর থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে তালা খুলে দেওয়া হয় বলেও খবর। এই প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা এটাকে গুরুত্ব দিচ্ছি না। হয়তো কারও নজরে পড়ার জন্য এটা করেছে।’ সুজন চক্রবর্তী জানান তিনি ও কর্মীরা লাইব্রেরিতে বসে মিটিং করছিলেন সেই সময়ে কয়েক জন ঢুকে এই কাণ্ড ঘটায়। তিনি আরও বলেন, ‘তৄণমূলের অফিসে তৄণমূল ঢুকতে পারছে না বলে তারা যদি ভাবে CPIM-এর অফিসে এসে ঢুকবেন, তা কোনওদিন মেনে নেওয়া হবে না৷ তালা ঝুলিয়ে দিলে তা ভেঙে দেওয়া হবে৷ পতাকা আমরা খুলে দেব৷ এই পার্টি অফিস দখলদারির জায়গা নয়৷’
তবে যাঁরা পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা কেউই ছাত্র নন বলে দাবি করেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে লাটে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ রাজ্যে গুণ্ডা তৈরি করা হচ্ছে। পুলিশ মন্ত্রী-সহ বাকিরা এই গুণ্ডামিকেই প্রশ্রয় দিচ্ছেন৷ তবে রাজ্যের ছাত্রেরা এই গুণ্ডামি মেনে নেবে না।’