আরজি কর ধর্ষণ-খুন মামলায় কলকাতা পুলিশের এক মহিলা আধিকারিককে সিজিও কমপ্লেক্সে সোমিবার ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। সূত্রের খবর, টালা থানার এক মহিলা আধিকারিক বেশ কিছু নথি নিয়ে এ দিন সিবিআই দপ্তরে হাজির হন। সোমবার ও মঙ্গলবার মোট ১১ জনকে তলব করেছে সিবিআই। এ দিকে এই তলবের মধ্যে আশার আলো দেখছেন বলে জানালেন আরজি করের নির্যাতিতা ও মৃত ডাক্তারি পড়ুয়ার বাবা। তাঁর দাবি, তাঁরা দিল্লি গিয়ে সিবিআই অধিকর্তা প্রবীণ সুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পরই তদন্তকারীরা নড়েচড়ে বসেছেন।
আরজি করে ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ-খুন মামলায় ইতিমধ্যেই সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে নিম্ন আদালত। তাকে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশও দিয়েছে। তবে প্রথম থেকেই নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন দাবি করে এসেছেন, এই নৃশংস ঘটনায় আসল দোষীকে আড়াল করা হচ্ছে। সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতেরও দ্বারস্থ হন তাঁরা।
শুধু তাই নয়, ৯ অগস্ট আরজি করে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনার তদন্তে সিবিআইয়ের গাফিলতি রয়েছে বলে সিবিআই প্রধানের কাছে অভিযোগও জানান নির্যাতিতার বাবা ও মা। সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলের বিরুদ্ধেই তদন্তের দাবি করেন।
তাঁর মা ও বাবার আরও অভিযোগ, তদন্তের যে সব দিক আলাদা করে খতিয়ে দেখা উচিত ছিল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সেগুলি নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামায়নি। এ দিন, ১১ জনের তলব প্রসঙ্গে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘দায়িত্বভার নেওয়ার পর সিবিআইয়ের যে কাজটা করার কথা ছিল, আজ ১৯৫ দিন পর তারা সেই কাজ করছে। কার উপর ভরসা রেখে যে বিচারের জন্য লড়াই করব, বুঝতেই পারছি না। তাই কলকাতা থেকে দিল্লি যেতে হয়েছিল। আমরা দিল্লিতে যাওয়ার পর সিবিআই কিছুটা নড়েচড়ে বসেছে, সেটা একটা আশার আলো দেখতে পারছি। মাঝে তো কোনও অ্যাক্টিভিটিই ছিল না। ১১ জনকে যে তলব করেছে, তাতে মনে হল আবার নড়েচড়ে বসেছে। তবে কেন ডেকেছে কী বৃত্তান্ত সেটা ওরাই বলতে পারবে।’