যাদবপুরে গুণ্ডামির পিছনে মাও যোগ স্পষ্ট! ভাইরাল ফেসবুক পোস্টে বিস্ফোরক তথ্য এল প্রকাশ্যে
আজকাল | ০৩ মার্চ ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: যাদবপুর কান্ডে ইতিমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে আহত ছাত্র ইন্দ্রানূজ রায়ের নাম। তাঁকে গাড়ি 'চাপা' দেওয়ার অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। যদিও শিক্ষামন্ত্রী সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। শাসকদলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য তাঁর ফেসবুক পেজ থেকে একেবারে মুহূর্ত মেপে, প্রতিটি স্টেপের ভিডিও পোস্ট করে দেখিয়েছেন আদৌ শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি চাপা দিয়ে চলে যায়নি ইন্দ্রানূজকে।
যাই হোক, তবে ইন্দ্রানূজের রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে ইতিমধ্যেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়। বিভ্রান্তি তৈরি হয় হামলার পেছনে কারা? এই পরিস্থিতিতে যাদবপুর কান্ডে নয়া মোড়। উঠে এল মাওবাদী যোগের তথ্য। আহত ছাত্র ইন্দ্রানূজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকেই মিলেছে তাঁর মাওবাদী যোগাযোগের প্রমাণ। ভারত রাষ্ট্রের ধ্বংস চেয়ে মাওবাদীদের ছবি সহ পোস্ট মিলেছে ২০২৩ সালের একটি ফেসবুক পোস্টে। ঠিক কী লেখা সেই পোস্টে?
"লাল সেলাম কমরেড বিবেক!লাল সেলাম, কমরেড কমলা!মার্ক্সবাদ, লেনিনবাদ, মাওবাদ দীর্ঘজীবী হোক!অপারেশন সমাধান-প্রহারের নামে ভারতের জনগণের উপর গৃহযুদ্ধ চালানো ভারত রাষ্ট্র ধ্বংস হোক!"
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যাচ্ছে রেভোল্যুশনারি স্টুডেন্টস ফেডারেশন নামক একটি ছাত্র সংগঠনের সাথে জড়িত ইন্দ্রানূজ। এই সংগঠন মাওপন্থী। এরা সশস্ত্র সংগ্রামের কথা প্রচার করে।
যাদবপুর কান্ডে এর আগেও একাধিকবার নেতা-মন্ত্রীদের ওপরে হামলার ঘটনায় মাওবাদী যোগের তথ্য উঠে এসেছে। এদিনই ইন্দ্রানূজকে নিয়ে শরিকি ভিন্নতাও প্রকাশ্যে উঠে এসছে। কিন্তু এরা কারা? কোথা থেকে এদের অর্থবল আসে, কোন অদৃশ্য হাত রয়েছে এদের পেছনে, কেনই বা অন্য কোনও দল, এমনকি অন্যান্য মূল ধারার বাম সংগঠনগুলিও হেনস্তার হাত থেকে রেহাই পায়না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
যদিও বর্তমান বিরোধীরা রাজনীতির ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন 'কমরেড'কে সহানুভূতি জানাতে দেখা গেছে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সেলিমকে। তাঁর পার্টি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে 'মাঠ বড়' করার ডাক দিলেও সেই 'বড় মাঠের' নয়া 'খেলোয়াড়' ইন্দ্রানূজ মাস খানেক আগেই রাজ্যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে তাঁকে কুকুরের সাথে তুলনা করতেও ছাড়েনি। এ কথা কি জানেন সেলিম?