তপন দেব: ঘরে ফিরে বাড়ির তিনজনের মৃতদেহ দেখে চমকে উঠলেন বনকর্মী। আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটের ওই ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে এলাকায়। জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার মানবেন্দ্র দাস জানান, সবটাই তদন্ত করা হচ্ছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, তিনজনের মৃত্যু হল আর পাশের ঘরের লোকজন টের পেল না?
মাদারিহাট রেঞ্জ অফিসের ভেতরে সরকারি আবাসনে থাকতেন অস্থায়ী বনকর্মী বিনোদ ওঁরাও ও তার পরিবার। সংসারে ছিলেন মা, ভাই, স্ত্রী ও ১৪ বছরের ছেলে। আজ সকালে এমন ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায় এলাকায়।
কীভাবে ঘটে গেল এমন ঘটনা? বিনোদ ওঁরাও বলেন, সোমবার ভোর চারটে নাগাদ তিনি কাজে চলে যান। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ বাড়ি থেকে খবর যায় ঘরে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন বাড়ির বাইরে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে ভাই, বারান্দায় পড়ে মা বিবি ওঁরায়ের মৃতদেহ। আর ঘরের ভেতরে বিছানায় পড়ে ১৪ বছরের ছেলে বিবেক ওঁরায়ের দেহ। তার গায়ে রক্তের দাগ।
বিনোদ বলেন, বাবার মৃত্যুর পর ছোট ভাই সরকারি চাকরির জন্য ছোটাছুটি করছিল। কিন্তু কোনও কাজ পায়নি। ফলে মানসিক অবসাদে ভুগছিল। বাদবাকী পরিবারে শান্তি ছিল।
এদিকে, এই ঘটনার পর অনেক প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। খুবই ছোট্ট সরকারি আবাসন। পাশাপাশি ঘর, দু-দুজনকে যদি গলা টিপেও মারা হয় পাশের ঘরে শুয়ে কিছুই টের পেলেন না দাদা-বৌদি! নিজের ছেলেরও মৃত্যু হল। সব মিলে জটিল হয়ে উঠেছে এই ৩ জনের মৃত্যুর রহস্য।
জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার মানবেন্দ্র দাস জানান সবটাই তদন্ত করা হচ্ছে। এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় গোটা বনদপ্তরের কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া।