• 'চালিয়ে খেলো সবাই', যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে SFI-র ধর্মঘটে রাজ্যজুড়ে অশান্তি!
    ২৪ ঘন্টা | ০৩ মার্চ ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে পথে বামেরা। যেদিন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হল, সেদিনই রাজ্য়জুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিল SFI। সেই বনধকে কেন্দ্র করে দিকে দিকে অশান্তি! বাদ গেল না কলকাতাও। ফেসবুকে পোস্টে SFI-র রাজ্য সভাপতি দেবাঞ্জন দে-র বার্তা, 'চালিয়ে খেলো সবাই'। বিতর্ক তুঙ্গে। 

    ধর্মঘট নাকি গো জোয়ারি? সকাল থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন ধর্মঘটীরা। এরপর এক ছাত্র যখন ক্য়াম্পাসে ঢুকতে যান, তখন তাঁকে বাধা দেওয়া হয় অভিযোগ। শুরু হয়ে যায় বচসা, হাতাহাতি! শেষপর্যন্ত অবশ্য ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেননি ওই ছাত্র। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল কলেজ স্ট্রিটে।

    শিলিগুড়িতে  বাঘাযতীন পার্ক এলাকায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস আটকে দেন ধর্মঘটের সমর্থকরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা। স্লোগান পাল্টা স্লোগানে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। শেষপর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    ধর্মঘটে অশান্তি কোচবিহারেও। শহরের জেনকিন্স স্কুল মোড়ে  তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও AIDSO ছাত্র  সংগঠনের মধ্যে গন্ডগোল। পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আটক করা হয় AIDSO ছাত্র সংগঠনের ২ জনকে।

    একই ছবি দক্ষিণবঙ্গে। মেদিনীপুরে কলেজে ধর্মঘটকে কেন্দ্র রীতিমতো সংঘর্ষে ছড়িয়ে পড়ে টিএমসিপি ও এসএফআই সমর্থকরা। ধর্মঘটের সমর্থনে তখন কলেজের ১ নম্বর গেটে অবস্থান করছিলেন এসএফআই সমর্থকরা। জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নেতৃত্বে টিএমসিপি-র বেশ কিছু বহিরাগত ছাত্র  জোর করে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায়। আহত হন দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন। আহত হন দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন। সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়েও।

    পাঁশকুড়ার বনমালী কলেজে ব্যাপক মারধর, উত্তেজনা। আহত ডি এস ও, এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থক বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। ঘটনা একে অপরের দিকে অভিযোগ তুলেছে দু'পক্ষ।

    এদিকে ধর্মঘটে যখন রাজ্যজুড়ে অশান্ত চলছে, তখন ফেসবুকে 'চালিয়ে খেলা'র বার্তা দেন SFI-র রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে। তিনি লেখেন, 'চালিয়ে খেলো সবাই! রাজ্যের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুনশান ক্যাম্পাস। করিডোরে, গেটে এসএফআই। বহিরাগতদের নো এন্ট্রি! কেউ আটকাতে এলে, তাদের আটকে দাও! যেভাবে আটকাতে হয়, সেভাবেই'।

    পাল্টা পোস্টে বামেদের নিশানা করেছে তৃণমূল। শাসকদলের প্রশ্ন, 'এটা আসলে কীসের প্রতিবাদ? নিজেদের তৈরি করা গুণ্ডামি ছাড়া এটা কী? প্রথমে হামলা, তারপর প্রতিবাদ—এটা দ্বিচারিতার চূড়ান্ত রূপ'!

    ঘটনাটি ঠিক কী? শনিবার তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার বৈঠক ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে। সেই বৈঠক শেষে যখন বেরোচ্ছিলেন, তখন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্য়রা। ওঠে 'গো ব্যাক' স্লোগান। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, একসময়ে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি চাকা খুলে নেন বিক্ষোভকারীরা! ভাঙচুর চলে গাড়িতে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এক পড়ুয়াকে পিষে দিতে গিয়েছিল শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি। 

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)