গোবিন্দ রায়: ওয়েবকুপার বার্ষিক সভাকে কেন্দ্র করে গত শনিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। মামলাকারী আইনজীবী অর্ক নাগের দাবি, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ আউট পোস্ট থেকে সিসিটিভি, নিরাপত্তার খাতিরে যা যা প্রয়োজন সবকিছুর ব্যবস্থা করতে হবে।
গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা ছিল। অভিযোগ, ওইদিন সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অশান্তি তৈরির চেষ্টা শুরু করে বাম ছাত্ররা। ছাত্র সংসদ নির্বাচন-সহ একাধিক দাবিতে সুর চড়াতে থাকে তারা। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পৌঁছনোর আগে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে একদল বাম ছাত্র। ওঠে স্লোগান। পালটা তাতে বাধা দেয় টিএমসিপি। দু’পক্ষের হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তারই মাঝে শুরু হয় ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা। আচমকা সভাস্থলে পৌঁছে যায় বিক্ষোভকারীরা। তুমুল উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে থাকা তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির অফিসেও ব্যাপক ভাঙচুর শুরু হয়। আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ব্রাত্য বসুর গাড়ির চাকার হাওয়াও খুলে দেওয়া হয়। ধাক্কাধাক্কিতে চোট পান খোদ শিক্ষামন্ত্রী। দুই ছাত্রও আহত হন।
এরপরই সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনজীবী অর্ক নাগ বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। ওখানে ভারতের আইন চলে না। ওখানে গভর্নর গেলে মারধর করা হয়। কেন্দ্রের মন্ত্রী গেলে আক্রমণ করা হয়। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী গেলে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। উপাচার্যের জামা ছেঁড়া হয়। ছাত্রদের ব়্যাগিং করা হয়। বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে যাদবপুর একটা বেআইনি সংস্থায় পরিণত হয়েছে। এখন দরকার সুপ্রিম কোর্ট বা হাই কোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে একটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কমিটি, যারা ছাত্রদের জন্য গাইডলাইন তৈরি করবে। সিসিটিভির ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ আউট পোস্টের ব্যবস্থা করবে এই কমিটি।” আইনজীবীর কথায়, এছাড়া যাদবপুরকে মূলস্রোতে ফেরানোর আর কোনও পথ নেই।