• 'ওরা নকশাল!', জোর করে যাদবপুরে ঢুকতে চাইল এবিভিপি, ছিঁড়ল এসএফআইয়ের পতাকা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ মার্চ ২০২৫
  • তৃণমূল দাবি করেছিল, ইচ্ছে হলে এক মিনিটে তারা যাদবপুর দখল করতে পারে। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় দেখা গেল অন্য ছবি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করল এবিভিপি। চার নম্বর গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করল এবিভিপি। বিশাল পুলিশ বাহিনী এল এলাকায়। 

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ফের উত্তেজনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একেবারে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। এবিভিপি জোর করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। এসএফআইয়ের পতাকা পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়া হয়। এরপর এসএফআই তাদের আটকানোর চেষ্টা করে। গেট আটকে দেওয়া হয়। যাদবপুরের নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের আটকানোর সব রকম চেষ্টা করে। যাদবপুরের গেট জোরে করে ধাক্কা দিয়ে খুলে 

    বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা রক্ষীরা বলেন, ওরা জোর করে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। পোস্টার, পতাকা খুলে দিচ্ছিল। 

    এক এসএফআই সমর্থক ছাত্রী বলেন, আমাদের পোস্টার পতাকা ছিঁড়ে দিল এবিভিপি। 

    এবিভিপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, আমরা গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলনে নেমেছি। পুলিশ জোর করে আমাদের সরিয়ে দিয়েছে। আমরা এটা কিছুতেই মানব না। 

    এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় চলে আসে। 

    অন্য়দিকে যাদবপুর থানার সামনে জমায়েত করেন বাম ছাত্র যুবরা। উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে এলাকায়। 

    এবিভিপির দাবি, নকশাল, মাওবাদী ডেরা নিয়েছে যাদবপুরে। ওদের তাড়াতে হবে। ওদের জন্য যাদবপুরের আজ এই হাল। ওদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। 

    তবে এভাবে জোর করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এবিভিপির প্রবেশের চেষ্টাকে ঘিরে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। 

    একেবারে মুখোমুখি হয়ে যায় এবিভিপি ও এসএফআই। যাদবপুরের নিরাপত্তারক্ষীরা সবরকম চেষ্টা করেন গেট আটকানোর জন্য। রক্ষীদের ধাক্কা দিয়ে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে এবিভিপি। একের পর এক এসএফআইয়ের পতাকা ছেঁড়া হয়। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায় বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা। তারা পালটা প্রতিবাদ শুরু করেন। তাদের দাবি ওরা বহিরাগত অন্যায়ভাবে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করছে। আর অন্য়দিকে এবিভিপির দাবি যাদবপুরে নকশাল রয়েছে। 

    এদিকে দক্ষিণাপনের সামনেই পুলিশ এবিভিপির মিছিল আটকে দেয়। কিন্তু তারপরেও কেন তারা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দল বেঁধে চলে এল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এভাবে জোর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশের কেন চেষ্টা তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। 

    এদিকে এর আগে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সংবাদমাধ্য়মে বলেছিলেন, ওরা তো শূন্য, কিছু আছে ওদের। কয়েকটি বাচ্চা ছেলেকে রাস্তায় নামানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীকে আঘাত করা হয়েছে। আমাদের অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, যদি মনে হয় এক মিনিট সময় লাগবে যাদবপুর দখল করতে। তোমরা ছাত্র, গুণ্ডামি তোমরা করো না। যাদবপুরের মানুষ বার বার তোমাদের থাপ্পড় মেরেছে। প্রতিবাদ চলবে। যাদবপুরে গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াই চলবে। এত বড় হিম্মত আমাদের শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে ভাঙচুর করল। আমাদের আগুন নিয়ে খেলবেন না কমরেড। তবে নেত্রী আমাদের সহনশীল হতে শিখিয়েছেন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)