• NRS থেকে ছাড়া পেলেন ট্যাংরার দে বাড়ির ছোট কর্তা, প্রসূনকে থানায় নিয়ে গেল পুলিশ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ মার্চ ২০২৫
  • আজই কি গ্রেফতার করা হবে ট্যাংরা কাণ্ডে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত তথা দে বাড়ির ছোট কর্তা প্রসূন দে-কে? তেমন একটা সম্ভাবনা রয়েছে বলেই দাবি সংশ্লিষ্ট সূত্রের। যদিও শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কিছুই ঘোষণা করা বা জানানো হয়নি।

    তবে, ইতিমধ্যেই যে বিষয়টি জানা গিয়েছে, তা হল - আজ কলকাতার এনআরএস হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে প্রসূন দে-কে। আর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই তাঁকে সটান নিয়ে যাওয়া হয়েছে ট্যাংরা থানায়।

    যদিও এখনও পর্যন্ত কলকাতার এই সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রসূন দে-র দাদা তথা দে বাড়ির বড় কর্তা প্রণয় দেয় এবং প্রণয়ের নাবালক ছেলে প্রতীপ দে।

    এদিকে, ট্যাংরার ঘটনায় ইতিমধ্যেই জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রসূনের শ্বশুরমশাই। আগেই জানা গিয়েছিল, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীনই পুলিশের প্রশ্নের মুখে প্রসূন নাকি স্বীকার করেছেন, তিনিই তাঁর স্ত্রী রোমি ও বড় বউদি সুদেষ্ণার হাতের শিরা কেটেছিলেন! তিনিই তাঁদের খুন করেছিলেন! এমনকী নাবালিকা প্রিয়ম্বদার খুনের নেপথ্য়েও প্রসূনের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

    কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, ট্যাংরা ট্রিপল মার্ডারে জড়িত রয়েছেন বাড়ির দুই কর্তা প্রণয় ও প্রসূনই। পরবর্তীতে প্রণয়ের নাবালক ছেলে প্রতীপ দাবি, তার মা ও কাকিমা এবং দিদিকে তার কাকা প্রসূনই খুন করেছে। অর্থাৎ - এই সমস্ত দাবি সত্যি হলে এই গোটা ঘটনায় প্রসূনই হবেন মূল বা প্রধান অভিযুক্ত।

    কিন্তু, ট্যাংরা কাণ্ডে একমাত্র বাড়ির বড় কর্তা প্রণয় দে বাদে বাকি সকলের হাতে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কাটার চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনায় খটকা লাগছে তদন্তকারীদের। সূত্রের দাবি, প্রণয় নাকি প্রাথমিকভাবে দাবি করেছেন, তিনি এতটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন যে নিজের হাতের শিরা কাটতে পারেননি। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বাকিদের শিরা তিনিই কেটেছিলেন?

    তাই যদি হয়, তাহলে তো প্রসূন ও প্রতীপ যে দাবি করছেন, তা ঘটনার সঙ্গে মিলছে না! এছাড়াও এমন অনেক প্রশ্ন রয়েছে, যার উত্তর পুলিশ এখনও পায়নি। যার মধ্যে অন্যতম হল, বাড়ির খান বিশেক সিসিটিভি ক্যামেরা অকেজো বা বন্ধ করে রেখেছিল কে?

    কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা মনে করছেন, এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে প্রণয় ও প্রসূন - দুই ভাইকেই জেরা করা দরকার। সেক্ষেত্রে দু'জনকেই গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে পুলিশ। প্রয়োজনে মনোবিদদের সাহায্য নিয়ে নাবালক প্রতীপের সঙ্গেও কথা বলতে পারে পুলিশ।

    আগেই বলা হয়েছিল, পুলিশ অপেক্ষা করছে দে পরিবারের সদস্যদের সুস্থ হয়ে ওঠার। সেক্ষেত্রে প্রসূন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে যাওয়ায় তাঁকে দ্রুততার সঙ্গে গ্রেফতার করে পুলিশ নিজেদের হেফাজতেই নিতেই পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)