শিয়ালদায় যুবকের ব্যাগে মিলল ৩০ লক্ষের সোনা! গ্রেফতার বাংলাদেশ সীমান্তের বাসিন্দা
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ মার্চ ২০২৫
শিয়ালদা স্টেশনে 'বলিউডি অ্যাকশন'! উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকার সোনা। একইসঙ্গে, সোনা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার বছর পঁচিশের এক যুবক। সৌজন্যে আরপিএফ-এর তৎপরতা।
আরপিএফ-এর কাছে আগে থেকেই খবর ছিল, শিয়ালদা স্টেশন হয়ে কেউ বা কারা মোটা টাকার সোনা পাচার করতে পারে। সেই মতোই অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স-এর কর্তব্যরত সদস্যরা।
রবিবার শিয়ালদা স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে তৈরি ছিলেন তাঁরা। এমন সময় ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এক যুবককে ইতিউতি ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তাঁর সঙ্গে একটি ব্যাগ ছিল। ওই যুবক নেমেছিলেন বনগাঁ লোকাল থেকে। তাঁকে দেখে সন্দেহ হয় আরপিএফ কর্মীদের।
তাঁরা ওই যুবককে প্ল্যাটফর্মেই প্রথমে ঘিরে ধরেন। তারপর শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। কিন্তু, যুবক অসংলগ্নভাবে কথা বলতে শুরু করেন। এতে তাঁর উপর সন্দেহ আরও বাড়ে। এরপর আরপিএফ কর্মীরা ওই যুবকের ব্যাগ তল্লাশি করতেই 'ঝুলি থেকে বিড়াল' বেরিয়ে পড়ে! দেখা যায় ওই যুবকের কাছে রয়েছে অনেকটা পরিমাণ সোনা! এসব দেখে প্ল্যাটফর্মে থাকা অন্য যাত্রীদের চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়।
পরবর্তীতে জানা গিয়েছে, রবিবার ওই অভিযান চালানো হয়েছিল আরপিএফ-এর সাব-ইন্সপেক্টর হরদেশ কুমার, কনস্টেবল অতুল কুমার এবং কনস্টেবল মাধুরী পাঠকের নেতৃত্বে।
ঘটনা প্রসঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, ধৃত ওই যুবকের নাম রাহুল সাঁতরা। তিনি বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন পেট্রাপোলের খালিদপুর গ্রামের বাসিন্দা। রবিবার বনগাঁ থেকেই ট্রেনে উঠেছিলেন তিনি। নেমেছিলেন শিয়ালদায়। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সোনার পরিমাণ ৩৪৮.৭৯ গ্রাম। যার বর্তমান বাজারদর আনুমানিক ৩০ লক্ষ টাকা।
আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সোনার কোনও নথি দেখাতে পারেননি রাহুল। সেই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ও ওই সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, পাচার বা বিক্রি করার জন্যই ওই সোনা কলকাতায় আনা হয়েছিল। কিন্তু, রাহুল কোথা থেকে সোনা পেলেন, এর সঙ্গে বাংলাদেশের যোগ রয়েছে কিনা, সেই সমস্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে সোনা পাচার কোনও নতুন ঘটনা নয়। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, এই ধরনের ঘটনায় স্থানীয় বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশও জড়িত থাকেন। তাঁদের অনেকেই এক্ষেত্রে বাহক বা ক্যারিয়ার-এর ভূমিকা পালন করেন। যার বদলে ভালো মতো কমিশন পান তাঁরা। এই কমিশনের ফাঁদে পা দিয়েই বহু বেকার যুবক-যুবতী পাচারে জড়িয়ে পড়েন। রাহুল সাঁতরাও তেমন কেউ কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।