• কুতুব মিনার ফেল! গোটা দেশকে চমকে দেবে হাওড়ার টাওয়ার, অত উঁচুতে যাবেন কীভাবে?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ মার্চ ২০২৫
  • হাওড়ায় নজর মিনার। হাওড়ার বেলিলিয়াস পার্কের কাছে তৈরি হচ্ছে এই নজর মিনার। ডুমুরজলা ও কোনা এক্সপ্রেসওয়ে এবং হাওড়া ময়দানে যুক্ত করছে যে বাইপাস তার কাছেই তৈরি হচ্ছে এই নজর মিনার। 

    এই মিনারের উচ্চতা প্রায় ১২০ মিটার। কুতুব মিনারের থেকে এই পঞ্চদীপ মিনার প্রায় ৩৮ মিটার চওড়া। নিউটাউনের বিশ্ববাংলা গেটের দ্বিগুণ লম্বা এই টাওয়ার। কলকাতার শহিদ মিনারের থেকেও লম্বা এই টাওয়ার। 

    এই মিনারের ডিজাইন করছে IIEST শিবপুর। একটি বেসরকারি গ্রুপ এই টাওয়ারের কাজটা করছে। এর দেখাশোনা করছে হাওড়া পুরনিগম। 

    টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, প্রায় ১১২ মিটার উচ্চতায় পর্যবেক্ষণ মঞ্চ থাকছে।  প্রায় ২ হাজার স্কোয়ার ফুটের মেঝে থাকছে। একসঙ্গে ২০০জন এখান থেকে দেখতে পাবেন। এখানে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন চারটি টেলিস্কোপ থাকবে। সেই টেলিস্কোপে চোখ রাখা যাবে। সেখান থেকে প্রায় ২০ কিমি দূর পর্যন্ত দেখা যাবে। সেখান থেকে কলকাতার একটা বড় অংশ নজর করা যাবে। নিউটাউন, সল্টলেক, কলকাতা বিমানবন্দর, হুগলি ও হাওড়া বিস্তীর্ণ অংশ দেখা যাবে এই টেলিস্কোপের মাধ্যমে। অবাক করা পঞ্চদীপ মিনার। 

    সেখানে এই পর্যবেক্ষণ মঞ্চ করা হচ্ছে তার ঠিক নীচেই একটি রেস্তরাঁ থাকবে। সেখানে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। অনেকেটা বিশ্ব বাংলা গেটের মতো। প্রায় ১০৪ মিটার উচ্চতায় এটা থাকবে। একটা বিরাট ব্যাঙ্কোয়েট হলও থাকবে। এই টাওয়ারে আরও দুটি ডেক থাকছে। একটা থাকছে ২৫ মিটার উচ্চতায় আর অপরটি ৫০ মিটার উচ্চতায়। 

    দুটি হাইস্পিড এলিভেটর থাকছে। প্রতি সেকেন্ডে তিন মিটার উঠতে পারবে এই এলিভেটর। ১৫জন করে যেতে পারবেন একবারে। এই এলিভেটরে চড়ে ডেকের পাশাপাশি রেস্তরাঁ ও ব্যাঙ্কোয়েট হলে যাওয়া যাবে। 

    অত্যন্ত শক্তপোক্তভাবে তৈরি করা হচ্ছে এই মিনার। প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, মাটির নীচে ৩৫ মিটার রয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ১০ তলার বেশি রয়েছে মাটির নীচে। সব মিলিয়ে ১৬৯টি পাইলিং করা হয়েছে। ভূমিকম্পেও এর কিছু হবে না। ভূমির সঙ্গে এর পরিধি প্রায় ৪০ মিটার। সব থেকে উঁচুতে যে ডেক রয়েছে তার পরিধি প্রায় ২২ মিটার। এই নির্মাণের ক্ষেত্রে ১৪০০ টন স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে। কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এই টাওয়ারের গঠনের উপর নজর রাখছেন। 

    আগামী কয়েক মাসের মধ্য়েই মিনারের কাজ শেষ হতে পারে বলে খবর। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)