যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে পথে নেমেছে বাম ছাত্র যুবরা। যাদবপুরে শুরু হয়েছে মিছিল। আর সেই মিছিলে তাৎপর্যপূর্ণভাবে যোগ দিয়েছেন অভয়া মঞ্চের চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি, একদিন আরজিকরের চিকিৎসকও অব্যবস্থার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন। তাঁকে খুন করা হয়েছে। আমরা বাংলার সাধারণ মানুষ দেখতে পাচ্ছি, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি নীচে পিষে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে ছাত্রকে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পিষে মারার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা তার বিরুদ্ধে পথে থাকব। চুপচাপ বসে থাকতে পারি না।
প্রসঙ্গত আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গোটা দেশ জুড়ে উঠেছিল প্রতিবাদের ঝড়। আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল পাড়ায় পাড়ায়। এবার নতুন করে প্রতিবাদের ঝড় উঠল যাদবপুরে।
এসএফআই নেতৃত্ব জানিয়েছে, ব্রাত্য বসুকে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। কোনও হামলা হুমকির সামনে এসএফআই মাথা ঝোঁকায়নি। কালও চলবে আন্দোলন। এই আন্দোলন থামবে না। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেকারণে সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কোথাও মাইক ব্যবহার করা হচ্ছে না। তাদের কোনও সমস্যা হবে না।
এদিকে যাদবপুরে বাম ছাত্র যুবদের মিছিলে অংশ নেন বহু প্রাক্তনী। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির নীচে এক ছাত্রকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায় বর্তমানে কেপিসি হাসপাতালে ভর্তি। সেই ঘটনার প্রতিবাদে এবার শিক্ষামন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে সরব বাম ছাত্র যুব সংগঠন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলছে প্রতিবাদ মিছিল। এই আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে চলবে বলে জানানো হয়েছে বাম ছাত্র যুব সংগঠনের তরফে।
এসএফআই নেতৃত্ব সাংবাদিক বৈঠকে রীতিমতো ভিডিয়ো দেখিয়ে জানিয়েছে, ইন্দ্রানুজ রায় চেক শার্ট পরেছিলেন। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি থামানোর চেষ্টা করেছিলেন। গাড়ির ধাক্কায় পড়ে গিয়েছিলেন। তবে তৃণমূল যে দাবি করছে স্কুটির ধাক্কায় পড়ে গিয়ে আহত হয়েছিলেন ইন্দ্রানুজ তা পুরো ভুল। ইন্দ্রানুজ ব্রাত্য বসুর গাড়ি চাকায় ধাক্কা লেগে পড়েছিল। স্কুটির সঙ্গে তার ধাক্কা লাগেনি।
কার্যত তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য আগে যে দাবি করেছিলেন তা নস্যাৎ করে দিয়েছে এসএফআই। রীতিমতো ভিডিয়ো দেখিয়ে এই দাবি তারা করেছেন।
এসবের মধ্যেই গোলপার্কের সামনে থেকে মিছিল বের করে বিজেপির যুব মোর্চা। ভারতীয় জনতা যুব মোর্চাও এদিন মিছিল বের করে। তাদের দাবি, বাম-তৃণমূল জোট রয়েছে বাংলায়। বামেদের সঙ্গে তৃণমূলের সেটিং রয়েছে। তারা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কণ্ঠ রোধ করতে চায়।