বাংলাদেশের হিন্দুরা কেমন আছেন, সরাসরি মোদীকে জানাতে চান চিন্ময়ের আইনজীবী
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশে সংখ্য়ালঘু হিন্দুদের রক্ষা করতে যেখানে যেখানে যেতে হবে, তিনি যাবেন। যাঁর যাঁর সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হবে, তিনি কথা বলবেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রবীণ আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। যিনি ইস্কনের প্রাক্তন সদস্য - সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের হয়ে সেদেশের আদালতে মামলা লড়ছেন।
বর্তমানে রবীন্দ্র রয়েছেন এপার বাংলায়। কলকাতায় তাঁর চিকিৎসা চলছে। সেই কারণেই বাংলাদেশের চরম অস্থির সময়েও দেশের বাইরে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি। তবে, শীঘ্রই স্বভূমে ফিরে যাবেন প্রবীণ এই আইনজীবী। কিন্তু, বাংলাদেশে ফেরার আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান তিনি।
এই প্রসঙ্গে টিভি নাইন বাংলা-র অনলাইন পোর্টালে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, সেই অনুসারে - বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। অর্জুন সিংও তাঁকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রাক্তন সাংসদের বক্তব্য হল, রবীন্দ্র ঘোষ তাঁর কথা বিজেপি নেতৃত্ব তথা ভারতের প্রসাশনিক প্রধানের কাছে পৌঁছে দিতে চান। একজন রাজনৈতিক কর্মী ও প্রাক্তন সাংসদ হিসাবে তিনি রবীন্দ্র ঘোষকে যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করবেন।
উল্লেখ্য, চিন্ময় প্রভুর জামিন এখনও ঝুলে রয়েছে। মাসের পর মাস কার্যত বিনা বিচারে বাংলাদেশের জেলে বন্দি থাকতে হচ্ছে ওই সন্ন্য়াসীকে। সূত্রের দাবি, তাঁর হয়ে অন্য আইনজীবীরা হয় মামলা লড়তে চাইছেন না, অথবা তাঁরা তাঁর জামিনের আবেদন করতে ভয় পাচ্ছেন।
এই প্রেক্ষাপটে রবীন্দ্র ঘোষ এগিয়ে এলেও তাঁকেও বিস্তর বেগ পেতে হচ্ছে। এমনকী, নানা অজুহাতে তাঁকে আদালতে সওয়াল করতে পর্যন্ত বাধা দেওয়া হয়েছে। এরই মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়ায় রবীন্দ্র ঘোষকে নিজের চিকিৎসা করাতে কলকাতায় আসতে হয়েছে।
প্রবীণ আইনজীবীর অভিযোগ, শুধুমাত্র চিন্ময় প্রভুর হয়ে আইনি লড়াইয়ে নামার জন্য বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা তাঁকে ভয় দেখাচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে। তাঁর আরও দাবি, বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা ভাবছে, হুমকি, হুঁশিয়ারির মুখে তিনি তাঁর স্বদেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নেবেন। কিন্তু, তেমনটা হবে না। চিকিৎসা প্রক্রিয়া সারা হয়ে গেলেই তিনি বাংলাদেশে ফিরবেন।
এরই সঙ্গে রবীন্দ্র ঘোষ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের হিন্দুদের দুর্দশা সম্পর্কে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীকে অবহিত করতে চান। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের হিন্দুদের রক্ষা করার জন্য যেখানে কথা বলার দরকার হবে, সেখানেই কথা বলব।' রবীন্দ্র ঘোষের আশা, তিনি শীঘ্রই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পাবেন।
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে অর্জুন সিং বলেন, 'উনি প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলার বিরোধী দলনেতার সঙ্গে দেখা করতে চান। আমি বলেছি, আমি চেষ্টা করছি সঠিক জায়গায় আপনার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার।'