যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়েছিলেন এক ছাত্র। এমনটাই বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে। সেই ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায় বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন কেপিসি হাসপাতালে। তার চোখের পাশে মারাত্মক আঘাত লাগে। তবে আপাতত তার চোখের ব্যান্ডেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। চোখ একেবারে লাল হয়ে রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে তার চোখ সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে খবর। তবে আগামী দিনে কী হবে সেটা বোঝা যাচ্ছে না।
ইন্দ্রানুজের বাবা এবিপি আনন্দ সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, এমনি তো ঠিক আছে। তবে চোখ নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা রয়েছে। চিকিৎসকরা দেখেছেন। তবে তাঁরা বলেছেন চোখটা নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা রয়েছে। তবে কী ধরনের দুশ্চিন্তা সেটা তাঁরা বলেননি। চোখটা লাল হয়ে আছে। ঘোলাটে ভাব হয়ে রয়েছে। বাইরে থেকে ঠিকঠাক বুঝতে পারছি না। পায়ের কিছুটা জায়গায় ছুলে গিয়েছে। সেকারণে ব্যান্ডেজ বাঁধা রয়েছে। পায়ের চামড়া উঠে গিয়েছে। পা টা যাতে নড়াচড়া না হয় সেটা দেখা হচ্ছে।
ধর্মঘট প্রসঙ্গ তিনি বলেন, ছাত্রদের সাধারণ প্রতিক্রিয়া হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। একজন ছাত্র গাড়ির তলায় পড়ে যাচ্ছে সে আহত হচ্ছে, তার বিপরীত প্রতিক্রিয়া হওয়াটা স্বাভাবিক। তবু আমি অনুরোধ করব যারা প্রতিবাদ করছেন তাঁরা প্রতিবাদ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে করুন। কোনওরকম কারোর অসুবিধা যাতে না হয় সেটা দেখবেন। প্রতিবাদটা রাজনীতির উর্ধে উঠে করুন। দলমত নির্বিশেষে মানুষ এটা করুন। প্রতিবাদ করুন। কিন্তু সেটা রাজনীতির উপরে উঠে করুন।
সেই সঙ্গেই তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে সরকারের তরফ থেকে কেউ যোগাযোগ করেননি। তবে হয়তো করবেন। হাসপাতালের কাছে জানতে চেয়েছি কী ধরনের চিকিৎসা হয়েছে বা তার আর কোনও বিশেষজ্ঞদের মতামতের দরকার কি না সেটা জানতে চেয়েছি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রতিবাদ নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না।যারা প্রতিবাদ করছেন কারোর পদত্যাগ চাইছি না। সবাই অভিভাবকসুলভ হিসাবে দেখুন। ছাত্রছাত্রীদের প্রতিপক্ষ ভাবলে চলবে না।
এদিকে ইন্দ্রানুজ রায়ের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রুজু করেছে পুলিশ। রিপোর্ট অনুযায়ী, ইন্দ্রানুজ সহ যাদবপুরের একাধিক পড়ুয়ার বিরুদ্ধে মহিলা শিক্ষকদের শ্লীলতাহানি, স্টাফ কোয়ার্টার ভাঙচুর ও আগুন জ্বালানো এবং তিন হাজার টাকা, ঘড়ি ও সোনার চেন চুরির অভিযোগ রয়েছে। যাদবপুর-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত আটচল্লিশ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু পুলিশের। ইন্দ্রানুজের চোখের পাশে ১৪টা সেলাই পড়েছে বলে খবর।
ইন্দ্রানুজ এবিপি আনন্দে বলেন, সেলাই কাটার পরে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। প্লাস্টিক সার্জেন এসেছিলেন। বাঁ চোখে দেখতে সমস্যা হচ্ছে।