• যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যুতে মামলা হাইকোর্টে, প্রধান বিচারপতি বললেন...
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ মার্চ ২০২৫
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ এবং অশান্তির ঘটনার জল গড়াল উচ্চ আদালতে। এই নিয়ে একাধিক জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই নিয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বেশ কয়েকজন। আবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের পাশাপাশি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে মামলা করার আবেদন জমা পড়েছে। এদিকে জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মামলার উল্লেখে প্রধান বিচারপতি প্রথমে বলেছিলেন, মামলাকারী যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসকের কাছে যান। তিনি বলেন, 'আমি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসক নই'। তবে পরে নাকি মামলাকারীর বক্তব্য শুনে উচ্চ আদালতে সেই মামলা করার অনুমতি দেন জস্টিস শিবজ্ঞানম।


    জানা গিয়েছে, মামলাকারী আবেদন করেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ আউট পোস্ট করার নির্দেশ দেওয়া হোক এবং পড়ুয়াদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক। মামলাকারী অভিযোগ করেন, উপাচার্য পড়ুয়াদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়েছে। এই মামলার বিষয়বস্তু শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আমি যাদবপুরের প্রশাসক নই। এই সব বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসকের কাছে যাওয়া উচিত।' তবে ১ মার্চের ঘটনাবলি শোনার পরে তিনি মামলার অনুমতি দেন। এদিকে যাদবপুরে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়টিও সোমবার প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। সেই মামলার অনুমতিও দেওয়া হয়।


    উল্লেখ্য, তৃণমূল প্রভাবিত ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলনে ব্রাত্য বসু যোগ দিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন ১ মার্চ। সেখানে প্রথম থেকেই গেটে অবরোধ করে রেখেছিলেন পড়ুয়ারা। ছাত্র সংসদের ভোটের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন পড়ুয়ারা। পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেট দিয়ে ব্রাত্য বসু প্রবেশ করেছিলেন ক্যাম্পাসে। তবে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার সময় ব্রাত্যকে ঘিরে ধরেন আন্দোলনকারীরা। বামপন্থী এবং অতি বাম ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে রীতিমতো তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে ইট ছোড়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় পাইলট গাড়ি। শিক্ষামন্ত্রী আহতও হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের পালটা দাবি, মন্ত্রীর গাড়িতে চাপা পড়েছেন এক ছাত্র। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এদিকে ব্রাত্য বসুও এসএসকেএমে গিয়েছিলেন অসুস্থ হয়ে। পরে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে এরপর সেদিন রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তৃণমূল সমর্থিত কর্মী সংগঠন 'শিক্ষাবন্ধু'র অফিসে আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ করা হয়। এদিকে জখম পড়ুয়াকে দেখতে হাসপাতালে গেলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কয়েকজন ছাত্রীর বিরুদ্ধে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)