যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির কাচ ভাঙচুর এবং তাঁর কনভয়ের নীচে পড়ে ছাত্রের আহত হওয়ার ঘটনা ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সোমবার রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল SFI AIDSO। ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল যাদবপুর-সহ রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ চত্বর।
এ দিন থেকেই শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। ফলে স্কুলগুলিতে পরীক্ষার্থীদের পৌঁছতে যেন কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে তৎপর ছিল পুলিশ। তার মাঝেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে দেখা যায় ধর্মঘটীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাম্পাসও ছিল থমথমে। সকাল ১১ টা নাগাদ ক্লাস রুমে ঢোকার গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পোস্টার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে লেখা ছিল, ‘এর পরেও তোরা ক্লাস করবি?।’
দুপুর ১.৩০টা নাগাদ তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে অরবিন্দ ভবনে। দফায় দফায় বিক্ষোভ হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। পাশাপাশি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ২ নম্বর গেট, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর এবং কলেজ স্ট্রিটেও অবস্থান বিক্ষোভ চলে পড়ুয়াদের। দুপুর ৩টে নাগাদ কলেজ স্ট্রিট চত্বরে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। অবস্থান চলে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেও।
এ দিকে, বিকেল ৫টা থেকে পাল্টা গোলপার্ক-যাদবপুর মিছিল করে BJP। একই সময়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধর্মঘটী পড়ুয়াদের মিছিল যাদবপুর থেকে গোলপার্ক হয়ে মিছিল পৌঁছয় যাদবপুর থানা পর্যন্ত। পুলিশের বিরুদ্ধে মিছিল আটকানোর অভিযোগ ওঠে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের এই ঘটনার আঁচ কলকাতা ছাড়িয়ে পড়েছে দিল্লিতেও। এ দিন দিল্লির বঙ্গভবনে SFI, AISA-র সদস্যরা বিক্ষোভ দেখান। SFI-এর মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেত্রী ঐশী ঘোষ। ofndnf পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয় বলেও খবর। সব মিলিয়ে যাদবপুর কাণ্ডের জেরে সোমবার দিনভর বিভিন্ন বিক্ষোভ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে রইল পরিস্থিতি।