• আদালতের নিয়োগ পরীক্ষায় একে অপরকে সাহায্য, মালদহের ২ পরীক্ষার্থী গ্রেফতার বাঁকুড়ায়!
    আনন্দবাজার | ০৩ মার্চ ২০২৫
  • আদালতের নিয়োগে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের তদন্তে নেমে মালদহ থেকে আরও এক পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। ধৃতের নাম ফিরোজ় শেখ। অভিযোগ, প্রথমার্ধে সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা দেন ওই পরীক্ষার্থী। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে শেখ মাজেদুর রহমান নামে এক পরিচিত এবং পরীক্ষার্থীকে মোবাইলের মাধ্যমে উত্তর সরবরাহের চেষ্টা করেছিলেন তিনি।

    আদালতে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের পরীক্ষা ছিল গত ২৩ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন প্রথমার্ধে গ্রুপ সি এবং দ্বিতীয়ার্ধে ছিল গ্রুপ ডি পদে কর্মী নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা। দ্বিতীয়ার্ধে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শিবদাস গার্লস হাই স্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন শেখ মাজেদুর রহমান নামে মালদহের এক পরীক্ষার্থীকে মোবাইল ব্যবহার করতে দেখেন পরীক্ষক। মাজেদুরের কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন এবং একটি সাধারণ মোবাইল উদ্ধার করা হয়। পরে ওই পরীক্ষার্থীকে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

    পুলিশ ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই গোটা পরিকল্পনার কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, মাজেদুর ও ফিরোজ়, দু’জনে মালদহের পৃথক জায়গার বাসিন্দা হলেও তাঁরা একে অপরকে ভাল করে চেনেন। দু’জনেই পরীক্ষায় বসেছিলেন এবং একে অপরকে সাহায্যের চেষ্টা করেন। ঠিক হয়, পরীক্ষার সময় মাজেদুর প্রশ্নপত্রের ছবি মোবাইলের তুলে পাঠাবেন এবং তাঁকে সাহায্য করবেন ফিরোজ়। সেই মতোই পরীক্ষার সময়ে সুযোগ বুঝে মোবাইলে প্রশ্নপত্রর ছবি তুলে ফিরোজ়ের কাছে পঠিয়ে দেন মাজেদুর। কিন্তু ওই কাজ করতে গিয়েই মাজেদুর পরীক্ষাকেন্দ্রে ধরা পড়ে যান।

    মাজেদুরকে পুলিশ গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ফিরোজ়ের কথা জানতে পারে। বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুপ্রকাশ দাস বলেন, ‘‘পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি নেওয়া হয়। এই পরীক্ষায় সেই দায়িত্ব ছিল সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর। তল্লাশি সত্ত্বেও কোনও ভাবে দু’টি মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করেছিলেন অভিযুক্ত। ফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে তিনি পাঠিয়েছিলেন আর এক জনকে। কিন্তু গোড়াতেই বিষয়টি নজরে এসে যাওয়ায় আর ওই কাজ করতে পারেননি তাঁরা। ফলে প্রশ্নপত্র আদৌ ফাঁস হয়েছিল কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এই চক্রে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

  • Link to this news (আনন্দবাজার)