কোনও নিয়মের ধার ধারেন না, স্কুলে নাকি ইচ্ছেমতো যাতায়াত করেন শিক্ষক। তাই লাটে উঠছে পঠনপাঠন। এমনই অভিযোগে স্কুলের গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন অভিভাবকেরা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের দুমদুমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের দুমদুমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ২৫। স্কুলে এক জন শিক্ষক এবং এক জন শিক্ষিকা। এলাকাবাসীদের দাবি, শিক্ষিকা সময় মেনে স্কুলে যাতায়াত করেন। কিন্তু শিক্ষকের মনোভাব, আসি-যাই মাইনে পাই গোছের। এক অভিভাবকের কথায়, ‘‘কোনও দিন ওই শিক্ষক সকাল ১১টায় স্কুলে ঢোকেন, কখনও সাড়ে ১১টা তো কোনও দিন ১২টা। তার পর দুপুর ২টোর মধ্যে বাচ্চাদের ‘মিড ডে মিল’ খাইয়ে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় স্কুল। এটা বেশির ভাগ দিনের ঘটনা।’’ তাঁদের অভিযোগ, এ ভাবেই কচিকাঁচাদের পঠনপাঠন মার খাচ্ছে। শিক্ষক কোনও দায়িত্বই নিচ্ছেন না। সোমবারও তিনি দেরিতে স্কুলে ঢুকেছেন। সেই কারণে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। এমনকি, শিক্ষক-শিক্ষিকাকে গ্রামে ঢুকতেও বাধা দেন অভিভাবকেরা। তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় স্কুলে।
অন্য দিকে, ‘অভিযুক্ত’ শিক্ষক রাজেশ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, সোমবার তাঁর স্কুলে যেতে খানিক দেরি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু রোজ তিনি দেরিতে স্কুলে আসেন না। তিনি আরও বলেন, ‘‘আসলে আমি স্কুলে ‘মিড ডে মিল’ রান্নার ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বনির্ভর দলের সদস্যাদের কথামতো অনিয়ম করতে চাইনি। তাই আমার বিরুদ্ধে এমন কথা বলা হচ্ছে। সরকারি যা বরাদ্দ রয়েছে তার মধ্যেই নিয়ম মেনে স্কুলে ‘মিড ডে মিল’ দেওয়া হয়।’’
বেশ কিছু ক্ষণ ধরে চলে বিক্ষোভ। খবর পেয়ে ওই স্কুলে ছুটে যান ঘোষেরগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শান্তনু কুণ্ডু। বিষয়টি তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে। স্কুলগেটের তালা খুলে দেন অভিভাবকেরা।