ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকেই শিল্প সংক্রান্ত সিনার্জি কমিটি গঠনের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্ন সভাঘরে সেই কমিটির প্রথম বৈঠকও সেরে ফেললেন মমতা। সেই বৈঠক থেকেই নির্দেশ দিয়েছেন, বিনিয়োগ সংক্রান্ত কোনও প্রস্তাব নিয়ে সরকারি স্তরে যেন কোনও ঢিলেমি না হয়। পাশাপাশি, সোমবারই সূচনা হল সিনার্জি পোর্টালের। যেখানে বিনিয়োগকারীরা সরাসরি তাঁদের উপদেশ, পরামর্শ, প্রস্তাব দিতে পারবেন। সিনার্জি কমিটির মাথায় রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রতি ১৫ দিন অন্তর এই কমিটি বৈঠক করবে। আগামী তিন দিনের মধ্যে জেলাস্তরেও জেলাশাসকের নেতৃত্বে এই ধরনের কমিটি গঠন করে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। শিল্পস্থাপনের ক্ষেত্রে জমি একটি মুখ্য বিষয়। আর জমির বিষয়ে মমতার সরকার গোড়া থেকেই স্পর্শকাতর। সোমবারের বৈঠকে সরকারের বিভিন্ন দফতরের হাতে থাকা অব্যবহৃত জমির খতিয়ান তিন দিনের মধ্যে চেয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘যে জমি পড়ে রয়েছে তা দখল হয়ে যাচ্ছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে জানাতে হবে কোন দফতরের হাতে কত অব্যবহৃত জমি রয়েছে।’’
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উপর জোর দিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা বড় শিল্প হলে হয়তো এক জায়গায় অনেক মানুষের কাজের সুযোগ হয়, কিন্তু ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে জায়গায় জায়গায় অনেক বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।’’
বৈঠকে মমতার স্পষ্ট নির্দেশ, কোনও প্রস্তাব এলে, তা এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। অনন্তকাল ফেলে রাখা যাবে না। তবে সোমবারের বৈঠকে পরিবেশ দফতর এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাজের প্রশংসা শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠে।