• পিসি শাশুড়ি হত্যাকাণ্ডে এবার ছোট ট্রলির হদিশ, তাতেই পাচার হয়েছিল দেহ টুকরো করার অস্ত্র!
    প্রতিদিন | ০৪ মার্চ ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাসত: মধ্যমগ্রামের দেহ লোপাট কাণ্ডে নীল ট্রলির পর নয়া ‘ছোট ট্রলি’র হদিশ! হাড়হিম করা খুনের ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ে দেখে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। সেই ‘ছোট ট্রলি’তে মৃতদেহ টুকরো করতে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ভরে ফেলা হয়েছে বলেই ধৃত ফাল্গুনী ও আরতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

    জেল হেফাজতে থাকাকালীন শনিবার ভ্যানচালক, ট্যাক্সি চালক-সহ কুমোরটুলি এলাকার ছয়জনকে দিয়ে টিআই প্যারেডে পিসি শাশুড়ি সুমিতা ঘোষ খুনে ধৃত ফাল্গুনী ও তার মা আরতিকে চিহ্নিত করানো হয়েছিল। এরপর সোমবার তাদের নিজেদের হেফাজতে নিতে বারাসত আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কিংশুক সাধুখাঁর কাছে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করেছিল মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। যদিও ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন বিচারক। নিজেদের হেফাজতে পেয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ, খুনে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার, মোটিভ-সহ খুনের পরেরদিন অভিযুক্ত মা-মেয়ে ঠিক কী কী করেছিল তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

    এরই মধ্যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশের হাতে এসেছে লাশ ভরা নীল ট্রলি নিয়ে যাওয়ার আগের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। নীল ট্রলিতে পিসি শাশুড়ির মৃতদেহ নিয়ে প্রথমে ভ্যানে, পরে দোলতলা থেকে ট্যাক্সিতে তুলে কুমোরটুলিতে গিয়ে লোপাটের আগেই ধরা পড়ে যায় ফাল্গুনী ও তার মা আরতি ঘোষ। পুলিশ সূত্রে খবর, নীল ট্রলি নিয়ে বেরনোর মিনিট তিরিশ চল্লিশ আগেও মা-মেয়ে আরেকটি ছোট ট্রলি নিয়ে বেরিয়েছিল। কিন্তু সেটা কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সিসি ক্যামেরার ফুটেজে পাওয়া যায়নি। এই ‘ছোট ট্রলি’তে খুনে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ভরে পাচার করা হয়েছিল বলে ধৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। সেই বয়ান যাচাই করা হবে জানিয়ে বারাসত জেলা পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খরিয়া বলেন, “এক-দুদিনের মধ্যে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে। আরেকটি ট্রলি ব্যাগে মা মেয়ে নিয়ে গিয়েছে বলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়েছে। ধৃতরা তাতে ধরলো অস্ত্র ভরে লোপাট করেছে বলে জানিয়ে। এই বয়ান যাচাই করে তদন্ত চালিয়ে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হবে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)