• বর্ধমান মেডিক্যালে এ বার অসুস্থ একাধিক প্রসূতি, ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ
    এই সময় | ০৪ মার্চ ২০২৫
  • মাস দুয়েক আগেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয় গোটা রাজ্যে। সেই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। এ বার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে অসুস্থ একাধিক প্রসূতি। ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্যেই প্রসূতির অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি তাঁদের পরিবারের সদস্যদের। যদিও, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রসূতিদের অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

    জানা গিয়েছে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের বেশ কয়েকজন প্রসূতি সন্তান প্রসবের পর সুস্থই ছিলেন বলে দাবি। সোমবার সন্ধ্যায় এক সঙ্গে তিনটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় প্রসূতিদের। তার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন একাধিক প্রসূতি বলে দাবি। অসুস্থ প্রসূতির পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, নার্সেরা ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরেই ১০-১২ জন প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েন। 

    প্রসূতিদের জ্বর আসে। শুরু হয় খিঁচুনি। প্রসূতিদের পরিবারের অভিযোগ, যাঁরা ইঞ্জেকশন দিয়েছেন, তাঁরা হয়তো কেউ প্রশিক্ষিত নন। খালিপেটে পর পর তিন-চারটি ইঞ্জেকশন নেওয়ার কারণেই প্রসূতিরা অসুস্থ বোধ করেন বলে তাঁদের দাবি। রোগী পরিবারের লোকদের প্রসূতিদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। 

    যদিও, মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল জানান, ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর কয়েকজন প্রসূতির অ্যালার্জির উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। এখন সকলেরই অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানো হয়। উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসের শুরুতেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে মামনি রুইদাস নামে একজন প্রসূতির মৃত্যু হয়। একাধিক প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েন। নির্দিষ্ট একটি কোম্পানির স্যালাইন দেওয়ার পরেই প্রসূতির অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। ঘটনার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। হাসপাতালে সাত জুনিয়র চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। দু’দিন আগেই তাঁদের সাসপেনশন তুলে নেওয়া হয়েছে। 

  • Link to this news (এই সময়)