• আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হয়েও অ্যালোপ্যাথির চিকিৎসা, হাতেনাতে ধরা পড়তেই কী সাফাই ডাক্তারের?
    এই সময় | ০৪ মার্চ ২০২৫
  • আদতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। কিন্তু চেম্বার খুলে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা করার অভিযোগ হুগলির এক চিকিৎকের বিরুদ্ধে। হাতেনাতে ধরা পড়লেন তিনি। শেষমেশ মুচলেকা দিয়ে আপাতত রেহাই পেয়েছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক নিতাই সেনাপতি। 

    জানা গিয়েছে, হুগলির পাণ্ডুয়ার কালনা মোড় এলাকায় একটি ওষুধের দোকানে চেম্বার রয়েছে ওই চিকিৎসকের। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিজেকে এমডি ডিগ্রিধারীর পরিচয় দিয়ে ওই চিকিৎসক অ্যালোপ্যাথির চিকিৎসা করতেন। 

    সোমবার পাণ্ডুয়ার বিএমওএইচ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষকে নিয়ে চিকিৎসকের চেম্বারে যান। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, যে প্রেসক্রিপশনে লিখে তিনি ওষুধ দিতেন, তাতে কোনও জায়গায় রেজিষ্ট্রেশন নম্বর আছে, কোনওটায় নেই। এমডি লেখা থাকলেও প্রয়োজনীয় তথ্যের উল্লেখ নেই। যা দেখে সন্দেহ জাগে স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁর বিভিন্ন নথি দেখে ব্লক প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর নিশ্চিত হয় আদতে আয়ুর্বেদ চিকিৎসক তিনি। এর পরেই তাঁকে দিয়ে মুচলেখা লিখিয়ে নেওয়া হয়। চিকিৎসক জানিয়ে দেন, আর অ্যালোপ্যাথির চিকিৎসা করবেন না তিনি।

    বিষয়টি নিয়ে পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ নিশাপতি রক্ষিত বলেন, ‘গত ২২ বছর ধরে নিজেকে এমডি অ্যালোপ্যাথি ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করছিলেন। আসলে উনি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। ৪০০ টাকা করে ভিজিট নিতেন। দেড়শো টাকার ওষুধ দিতেন। উনি অবৈধভাবে এটি করছিলেন।’ প্রয়োজনে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। 

    অন্যদিকে হাতেনাতে ধরা পড়ার পর সাফাই দেন ওই চিকিৎসক। অভিযুক্ত চিকিৎসক নিতাই সেনাপতি বলেন, ‘আমার যা যা কাগজ ছিল তা দেখিয়েছি। আমি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। আয়ুর্বেদ চিকিৎসাই করব। তবে আমাদের কাউন্সিলের নির্দেশ আছে ৬৭ টা এই ধরনের ওষুধের নাম লেখা যায়।’

  • Link to this news (এই সময়)