ট্যাংরা 'খুনে' গ্রেফতার ছোটভাই প্রসূন দে, বড় অভিযোগ তার বিরুদ্ধে
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ মার্চ ২০২৫
ট্যাংরাকাণ্ডে গ্রেফতার দে পরিবারের ছোট ভাই প্রসূন দে। স্ত্রী, বউদিকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল প্রসূন দে কে। এনআরএস হাসপাতাল থেকে ছাড়ার পরে তাকে ট্যাংরা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই গ্রেফতার করা হয় প্রসূনকে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে তোলা হবে বলে খবর।
সূত্রের খবর, বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ তাকে এনআরএস থেকে ট্য়াংরা থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপর পুলিশ তার সঙ্গে কথা বলে। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
হাসপাতাল থেকে মাস্ক পরে বেরিয়ে এসেছিলেন প্রসূণ। এরপর তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই গ্রেফতার করা হয় প্রসূন দে। শ্বশুরবাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার প্রসূন দে কে।
এর আগে ট্যাংরার ওই পরিবারের কিশোরের স্বীকারোক্তি ছিল যে মা কাকিমা ও বোনকে খুন করেছে কাকা। এমনকী ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েস খাওয়ানোর পরে বেঁচে গিয়েছিল ওই বাড়ির কিশোর। এরপর কাকা প্রসূণ বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু যোগ ব্যায়াম করার জন্য বেঁচে যায় সে। রাজ্যের শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনকে এমনটাই বয়ান দিয়েছিল ট্যাংরাকাণ্ডের জখম কিশোর। কার্যত মরার ভান করে পড়েছিল কিশোর। কিন্তু আসলে সে মরেনি। সে বেঁচে ছিল। পরে কাকা ও বাবার সঙ্গে গাড়িতে উঠেছিল সে। সেই গাড়ি ধাক্কা দিয়েছিল অভিষিক্তা মোড়ের কাছে মেট্রোর পিলারে। সেখানেই জখম হয়েছিলেন তিনজন। এরপরই সামনে আসছিল একের পর এক বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি।
এদিকে ট্যাংরায় তিনজনকে খুন নাকি আত্মহত্যা এনিয়ে প্রথম থেকে নানা জল্পনা ছড়াচ্ছিল। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছিল ট্যাংরার বাড়িতে তিনজনকে খুন করা হয়েছে। অর্থাৎ দুজন মহিলা ও এক কিশোরীকে খুন করা হয়েছে। তিনটি ঘরেই রক্তের দাগ। বেসিনে রক্তের দাগ। ঘরের একটা ঘরে কিছু জামাকাপড় রয়েছে। সেখানেও রক্তের দাগ ছিল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে খুন করার পরে জামাকাপড় ছেড়ে বেরিয়েছিল অভিযুক্তরা।
একাধিক সংবাদমাধ্য়মের রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, ট্যাংরায় বাড়ির দুই বধূকে খুন করা হয়েছে। তবে অপর যে কিশোরীকে মৃত অবস্থায় মিলেছে তার বিষক্রিয়ার মৃত্য়ু হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে যে রিপোর্ট তাতে জানা গিয়েছে, হাতের শিরা কাটা ও গলার নলি কাটা হয়েছিল দুই মহিলার। একজনের একটি হাতের শিরা কাটা হয়েছিল। অপর মহিলার দুই হাতের শিরা কাটা হয়েছিল। দুজন মহিলাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। আর কিশোরীর মৃত্যুর কারণ অনুসারে যেটা প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছিল তার। খাওয়ার তিন থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুর ঘটনা। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পোস্ট মর্টেম চলে। এনআরএসে হয় এই পোস্ট মর্টেম।
রিপোর্টে ছিল ..
রোমি দে
এক বধূর কবজিতে কাটা হয়েছিল। অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণে মৃত্যু।
কিশোরীর শরীরে কালশিটে দাগ ছিল। বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে। তার পাকস্থলিতে হলুদ রঙের কিছু তরল মিলেছে। মেডিসিনের মতো গন্ধ।
সুদেষ্ণা দে
অপর বধূরও কবজি কাটা হয়েছিল। গলার কিছুটা কাটা ছিল। দুই বধূর ক্ষেত্রে তারা যখন বেঁচে ছিলেন তখনই এই কবজি ও গলা কাটা হয়েছিল।