• বাংলার মেয়ের ডিজাইন পৌঁছল চাঁদে, নজির গড়লেন হুগলির প্রিয়াঙ্কা 
    এই সময় | ০৪ মার্চ ২০২৫
  • ‘চাঁদের বুড়ি’ কি বাংলার মেয়ের ডিজাইন করা শাড়ি পরবেন? কল্পনা করাই যায়! তবে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে বাংলার মেয়ের ডিজাইন। ফের নয়া নজির বাঙালির। হুগলির মেয়ে প্রিয়াঙ্কা মল্লিকের ডিজাইন পৌঁছল চাঁদে। শুনতে অবাক লাগছে? আদতে এটাই সত্যি। 

    হুগলি জেলার দাদপুর থানার বাদিনান গ্রামের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা মল্লিক। ইতালির মিলান থেকে ফ্যাশন ডিজাইন ডিগ্রি করেছেন প্রিয়াঙ্কা। বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন সংস্থায় তাঁর ডিজাইনের পোশাক ইতিমধ্যেই প্রশংসিত হয়েছে। ২০২৩ সালে ৬ মে ইংল্যান্ডের রাজা ও রানির রাজ্যাভিষেকের সময়ও প্রিয়াঙ্কার ডিজাইন পাড়ি দিয়েছিল বিলেতে। দেশ-বিদেশের নানা পোশাক শিল্পীকে টেক্কা দিয়ে প্রিয়াঙ্কার আঁকা নকশা নির্বাচিত হয় রানি ক্যামিলার জন্য। ‘ইটারনাল রোজ়’ থিমের সেই পোশাক রানির এতই পছন্দ হয় যে, ক্যামিলা নিজে সেই নকশার প্রশংসা করেন।

    প্রিয়াঙ্কার তৈরি করা সেই দু’টি ডিজাইন এ বার চাঁদের মাটিতে পৌঁছে গেল। রবিবার ভারতীয় সময় দুটো চার মিনিটে NASA-র সহযোগিতায় Firefly Aerospace-এর ‘Blue Ghost Lunar Lander’ চাঁদের মাটিতে পা রাখে। গত ১৫ জানুয়ারি পৃথিবী থেকে রওনা দিয়েছিল ‘ব্লু ঘোস্ট’। সেই মিশনের   লাইফশিপ পিরামিডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কা-র দুটো ডিজাইন। প্রিয়াঙ্কা মল্লিক হলেন প্রথম ফ্যাশন ডিজাইনার যাঁর সৃষ্টি ডিজাইন চাঁদে পৌঁছল।

    ১৫ জানুয়ারি মিশন শুরুর পরেই নাসা থেকে ‘ইউনিভার্সাল ফ্যাশন ডিজাইনার’-এর স্বীকৃতি পান প্রিয়াঙ্কা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর সাক্ষরিত শুভেচ্ছা বার্তা ই-মেল মারফত এসে পৌঁছয় প্রিয়াঙ্কার কাছে। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘এই ডিজাইনগুলো আমি ভার্চুয়ালি কোম্পানিকে পাঠাই। তারা জানায় এটা লাইভশিপ পিরামিড-এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যেটা হাজার হাজার বছর অবধি চাঁদের মাটিতে রয়ে যাবে। এটা মানব সংস্কৃতি, মানব সমাজের ফ্যাশনকে সারা ব্রহ্মাণ্ডে ছড়িয়ে দেবে।’ তাঁর কথায়, ‘আমি কতটা খুশি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। এমন একটা স্বপ্ন সফল হলো, যেটা আমি জীবনে কল্পনাও করতে পারিনি।’

  • Link to this news (এই সময়)